হায়দরাবাদ, ২৭ জানুয়ারি: প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সংসোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে হায়দরাবাদে (Hyderabad Police) সমাবেশ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন দলিত নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ। মেহেদিপটনমের ক্রিস্টাল গার্ডেনে ছিল সমাবেশ দলিত আদিবাসী মুসলিমরা এই সমাবেশ ডেকেছিল, সেখানেই যান চন্দ্রশেখর আজাদ সঙ্গে সঙ্গেই গোসামহল থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, সেই সমাবেশে যারা আজাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁদের প্রায় প্রত্যেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ আগেই ২৬ জানুয়ারিতে সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর বিরোধী জনসমাবেশ বাতিল করেছিল। তবে আজাদি স্লোগান দেওয়া বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গে এখনও মুখ খোলেনি পুলিশ। চন্দ্রশেখর আজাদকে গ্রেপ্তারির পর হায়দরাবাদ পুলিশ জানায়, কোনও অনুমতি ছাড়াই সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর- এর বিরুদ্ধে সমাবেশ করছিলেন তাই তাঁকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে (anti-CAA) যোগ দিতে দিল্লির শাহিনবাগে (Shaheen Bagh) পৌঁছালেন ভীম সেনাপ্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ (Bhim Army chief Chandrashekhar Azad)। বুধবার সেখানে উপস্থিত হয়ে যুব সমাজের উদ্দেশে চন্দ্রশেখর বলেন, কেন্দ্রের বিপজ্জনক প্রকল্প সিএএ-কে রুখতে এই শন্তিপূর্ণ আন্দোলনে যোগ দিন। তিনি বলেন, “ শুধু সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার বা এনআরসি-কে বন্ধ করে দেওয়াই নয়। ভারতের গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্যই এই সংগ্রাম। বিজেপি সরকারের কবল থেকে দেশের সংবিধানকে রক্ষা করাই আমাদের লড়াইয়ের অন্যতম বক্তব্য।” এদিন শাহিবাগে পৌঁছাতেই ভীম সেনাপ্রধানকে সাদরে বরণ করে নেন আন্দোলনকারীরা। সংবিধানের প্রস্তাবনার প্রতিলিপি হাতে নিয়েই আন্দোলন স্থলে পৌঁছান চন্দ্রশেখর আজাদ। আরও পড়ুন-Sedition Case Against JNU Student: 'বিচ্ছিন্ন অসম চাই' প্রতিবাদ করায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে জেএনইউ-র ছাত্রকে গ্রেফতার
भीम आर्मी प्रमुख चन्द्रशेखर आज़ाद जी को हैदराबाद पुलिस ने गिरफ्तार कर लिया है।
— Chandra Shekhar Aazad (@BhimArmyChief) January 26, 2020
It’s a #RepublicDayIndia gift from @hydcitypolice to #Hyderabad Youth. #HyderabadFlashProtest pic.twitter.com/yHluVxW3X1
— مبشرالدین خرم (@infomubashir) January 26, 2020
জামা মসজিদের সামনে থেকে গ্রেপ্তারির পর ভীম সেনাপ্রধানকে কম হেনস্তা করেনি রাজধানীর পুলিশ। সেই মামলা তিস হাজারি কোর্টে উঠলে পুলিশকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। সাফ জানান, জামা মসজিদ পাকিস্তানে নয় যে তার সামনে আন্দোলন করার অপরাধে কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে। আর যদি পাকিস্তানেও হত তবে তা অবিভক্ত ভারতেরই অংশ, এটা মনে রাখতে হবে।