বেঙ্গালুরু, ৯ জুলাই: কর্নাটকে (Karnatka) এখন বিজেপি-র কোর্টে চলে গেল বল। রাজ্যের সরকার পক্ষের দুই বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ায়, পদ্ম শিবিরে এখন সরকার গড়ার মত সংখ্যা রয়েছে বলে দাবি। রোশন বেগ নামের এক হাইপ্রোফাইল বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর কুমরাস্বামী সরকার ভেঙে যাওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন অনেকে। একের পর এক বিধায়কের কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর কংগ্রেস-JDS-কে সংখ্য়ার বিচারে বিজেপি টপকে গেল বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে।
শুক্রবারই কংগ্রেস-জেডিএস সরকার ভেঙে যেতে পারে বলে জোরাল দাবি করলেন কর্নাটকে বিজেপি শীর্ষ নেতা কেএস ঈশ্বরপ্পা (KS Eshwarappa)। বিজেপি আগেই জানিয়েছে, সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় সংখ্যা এলে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী করা হবে ইয়েদুরাপ্পা-কে। আরও পড়ুন-তৃণমূল বনাম সব্যসাচী দত্ত দ্বন্দ্বে নয়া মোড়
ক দিন আগে কংগ্রেস-জেডিএস জোট থেকে ১৩জন বিধায়ক পদত্যাগ করার পরই ঘোর সঙ্কটে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। রাজ্যের সব মন্ত্রীরা পদত্যাগ করে সঙ্কট মেটানোর চেষ্টা হলেও, বিদ্রোহীরা এবার দলত্যাগ করে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ায় কোনওভাবেই আর সরকার বাঁচানো সম্ভব নয় বলে বিশেষজ্ঞমহলের ধারনা। ১৩ মাসের কুমারস্বামীর সরকার যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে তা যত সময় যাচ্ছে তা আরও পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। কংগ্রেস-JDS-র দাবি, কোটি কোটি টাকা ছড়িয়ে বিধায়কদের কিনে নিয়ে অনৈতিকভাবে সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি। গতকাল, লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী হর্স ট্রেডিং বা বিধায়ক কেনাবেচার ইস্যুটি লোকসভায় তুললে তা উড়িয়ে দেন রাজনাথ সিং।
সংখ্যায় কে কোথায়
গত বছর নির্বাচনের পর ছিল
মোট আসন: ২২৪টি
কংগ্রেস+জেডিএস: ১১৬টি আসন (কং-৭৮, জেডিএস-৩৭, বিএসপি-১)
বিজেপি: ১০৭টি আসন
কংগ্রেস-জেডিএস শিবিরের ১৩ জন বিধায়কদের পদত্যাগপত্র গৃহিত হলে কুমারস্বামীর পক্ষে সংখ্যা ১০৩-এ নেমে আসবে। যেখানে সরকার গড়তে দরকার ১১৩ জন বিধায়কের সমর্থন।