TMC vs Sabyasachi Dutta: তৃণমূল বলছে 'যাও যাও', সব্যসাচী দত্ত বোঝাচ্ছেন, 'যেতে পারি কিন্তু কেন যাব'!
তৃণমূলকে সরাসরি চ্য়ালেঞ্জ সব্যসাচী দত্ত-র। (Photo Credits: Facebook)

কলকাতা, ৯ জুলাই: কলকাতার মেয়র-মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম থেকে খাতায় কলমে তৃণমূলের নম্বর টু পার্থ চ্যাটার্জি। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার বিধাননগরের মেয়র-বিধায়ক সব্যসাচী দত্তকে দল ছাড়তে বলছেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক সেরে নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে নিশ্চিত সব্যসাচী দত্ত বোঝাচ্ছেন'যেতে পারি কিন্তু কেন যাব'!

বিধাননগর পুরনিগমে মেয়র পদে ভোটাভুটির রাস্তায় হেঁটে রীতিমত দলীয় নেতৃত্বকে চ্য়ালেঞ্জ জানালেন সব্যসাচী। পদত্য়াগের প্রশ্ন উড়িয়ে, দলের কথা না শুনে সব্যসাচী রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে জানালেন, 'যেদিন ভোটাভুটি হবে, সেদিন দেখতে পাবেন, ক'জন কাউন্সিলর আমার সঙ্গে রয়েছেন। আমি এখন মেয়র হিসাবে কাজ চালিয়ে যাব'।  আরও পড়ুন-ফিরহাদ হাকিমকে জল্লাদ বললেন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে গতকাল বিকেল থেকেই দেখানো হতে থাকে, ফিরহাদ হাকিম ফোনে মেয়র পদ থেকে সব্যসাচী দত্তকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তা নিয়ে সব্যসাচী দত্ত জানিয়েছিলেন,''দলের তরফে কোনও নির্দেশ পাইনি। ফোন করে কেউ পদত্যাগ দেওয়ার কথা বলেননি। ফোনে এই পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ানো যায় না। যেদিন ভোটাভুটি হবে,সেদিন দেখতে পাবেন, কজন কাউন্সিলর আমার সঙ্গে রয়েছেন।'' এমন দাবির পরে সব্যসাচীর বিস্ফোরক দাবি, ''দলের অনেকেই আমার পাশে আছে। আমাকে অনেকে ফোনও করেছে।'' সব্যসাচী দত্ত বুঝিয়ে দিলেন দলের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণায় তিনি এক নন।

সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে সরব ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতৃত্ব। ফিরহাদ হাকিম বলেন,''সব্যসাচী দত্তের দল ছেড়ে দেওয়া উচিত। দলে থেকে যা ইচ্ছা করা যায় না। না হলে ওকে মিরজাফ্ফর বলা হবে। ''এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সব্যসাচী সম্পর্কে পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, ''দলের থেকে ব্যক্তি বড় হতে পারে না। দল সব্যসাচীকে বহু সুযোগ দিয়েছে। দল এব্যাপারে চুপ করে বসে থাকবে না।''

রাজনৈতিক মহলের ধারনা, দল ছাড়ার আগে জলঘোলা করে তৃণমূলকে নাজেহাল করতে চাইছেন সব্যসাচী। ঠিক যেভাবে তিনি জনগণের মধ্যে থাকা স্বত্ত্বেও দলের কিছু ধান্দাবাজ মানুষের জন্য তাঁকে দল ছাড়তে হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনে তাঁর শিবির বিরোধী রাজ্যের এক মন্ত্রীর কেন্দ্রে তৃণমূল পিছিয়ে থাকলেও, সব্যসাচীর কেন্দ্রে লিড ছিল তৃণমূলের। এরপরেও সব্যসাচীকে কোণঠাসা করা হয়েছে। অন্তত এমনটাই দাবি সব্যসাচীর। যদিও মুকুল রায় জানিয়েছি দলের কোণঠাসা অবস্থায় সব্যসাচী সেটা এভাবে প্রতিশোধ নিচ্ছেন কি না সেটার জল্পনা। অনেকে বলছেন, দল ছাড়লে সব্যসাচী একা নন, আরও কয়েকজন কাউন্সিলরকে নিয়েই বিজেপিতে যোগ দেবেন।