কলকাতা, ৮ জুলাই: রবিবার বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে শুধু দেখা করাই নয়, রীতিমতো নৈশভোজ সেরেছেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা সব্যসাচী দত্ত। রাত পোহাতেই সেই খবরে রেগে আগুন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, এবার দল ছেড়ে বিদায় নিক সব্যসাচী। সন্ধ্যা হতে না হতেই তার মোক্ষম জবাব দিলেন বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র সব্যসাচী, তিনি তো এককাঠি উপর দিয়ে যান। পুরও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে জল্লাদ বললেন তিনি। এরপরেই তৃণমূলের অন্দরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আরও পড়ুন- সারদা মামলার জট খুলতে এবার শতাব্দী রায়কে তলব করল সিবিআই
বিকেলে বিধাননগর পুরনিগমের দফতরে মেয়রের চেয়ারে বসে সব্যসাচী বলেন, “জহ্লাদ যখন ফাঁসি দেন, তখন তাঁকে খারাপ বলতে নেই। কারন তিনি কারও অর্ডারে ফাঁসি দেন। ইনিও হয়তো কারও অর্ডারে বলেছেন।” তখনই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় আপনি কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইঙ্গিত করছেন? জবাবে সব্যাসাচী বলেন, “আমি কাউকেই ইঙ্গিত করিনি। এখন তো অনেকেই অর্ডার দেন। কত কনসালটেন্সি আছে!” ববি তো উপলক্ষ মাত্র তিনি যে দিদিকেই কটাক্ষ করেছেন তা বুঝতে কারও বাকি নেই। দলে কি সত্যিই তিনি কোণঠাসা? প্রতিদিন শীর্ষ তৃণমূল নেতারা তোপ দাগছেন তাঁর বিরুদ্ধে। এ দিন সকালেও ববি হাকিম বলেছেন, “শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে আমি বলেছি ওঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে।” কিন্তু সব্যসাচী বিকেল বেলা বোঝাতে চাইলেন তিনি মোটেই কোণঠাসা নন। তাঁর সঙ্গেও অনেক নেতামন্ত্রী যোগযাযোগ রাখছেন।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে মুকুল রায়ের সঙ্গে সব্যসাচীর ‘সৌজন্য বৈঠক’ ও নৈশভোজ নিয়ে সোমবার সকালে তোপ দেগেছিলেন ববি। সব্যসাচীকে মিরজাফর ও বেইমানও বলেছেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতৃত্ব ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়কে পুরসভা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। কাউন্সিলরদের ডেকে বলে দেওয়া হয়েছে অনাস্থা আনতে হবে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনি কী করবেন? ইস্তফা দেবেন? বিধাননগরের মেয়র বলেন, “সবটাই সময় বলবে। কবে বৃষ্টি হবে, তখন আমি রেনকোট গায়ে দেব না ছাতা মাথায় দেব সেটা তো তখন ঠিক করব।”