Jayalalithaa. (Photo Credits: Twitter)

চেন্নাই, ১৮ অক্টোবর: জয়ললিতার মৃত্যু রহস্যে নয়া মোড়। তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকে-র প্রাক্তন প্রধান জয়ললিতার মৃত্যু নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল কমিশন। কমিশনের মাথায় ছিলেন আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সহ বেশ কয়েকজন। ৬০৮ পাতার কমিশনের রিপোর্টে 'আম্মা'র মৃত্যুর জন্য শশীকলাকেই ঘুরিয়ে দায়ী করা হয়েছে।

জয়ার মৃত্যুতে রহস্যের আঁচ পেয়ে শশীকলা, মেডিক্যাল টিমের ওপর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জয়ার মৃত্যু পরিকল্পিত হলেও হতে পারে বলে ইঙ্গিত রয়েছে তামিলনাড়ু সরকারের গড়া তদন্ত কমিশনে। ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ের অ্যাপেলো হাসপাতালে মারা যান জয়া। তাঁর মৃত্যুতে কোনও রহস্য নেই বলে AAIMS ছাড় দিলেও, তামিলনাড়ুর সরকারের তদন্ত কমিশন অন্য কথা বলল।

মারা যাওয়ার আগে অ্যাপোলোতে ৭৫ দিন ভর্তি ছিলেন জয়ললিতা। অভিযোগ, তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবাইকেই অন্ধকারে রেখেছিলেন। বিশেষ কয়েক জনের বাইরে কেউ জানতেনই না, কেমন আছেন জয়ললিতা। এমনকী, তাঁর সঙ্গে প্রায় কাউকে দেখা করতে দেওয়া হত না।

দেখুন টুইট

ডাক্তারী রিপোর্টে বলা হয়েছিল, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছিলেন জয়ললিতা। পাশাপাশি তাঁর দেহের একাধিক অঙ্গও কাজ করা বন্ধ করে দেয়।কিন্তু এই কথাটা জানাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দু'মাস সময় নেয়। পাশাপাশি জয়ার মৃত্যুতে বেশ কিছু অস্বাভাবিকত্বের অভিযোগ উঠেছিল। জয়ার মৃত্যুতে বারবার তার ছায়াসঙ্গী শশীকলার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল।