নয়াদিল্লি: ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে অভাবনীয় সফলতা (remarkable growth) এসেছে ভারতের খেলনা শিল্পে (India’s toy industry)। ২০১৪-১৫ আর্থিক বর্ষে বিদেশ থেকে যেমন একদিকে ৫২ শতাংশ খেলনা কম আমদানি করা হয়েছে তেমনি অন্যদিকে রপ্তানি বেড়েছে ২৩৯ শতাংশ। দেশব্যাপী খেলনার গুণগত মানেরও উন্নতি হয়েছে। টেক্কা দিয়েছে বিশ্বের খেলনা বাজারে আধিপত্য থাকা চিনকে (India Beat China Handsomely)।

২০২০ সালের আগস্ট মাসে মন কি বাত (Mann ki Baat)-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) বলেছিলেন, "ভারতকে একটি বিশ্বব্যাপী খেলনা উৎপাদন কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করবেন। সেইমতো দেশজুড়ে খেলনা শিল্পকে বিশ্ববাজারে মনগ্রাহী করতে সাহায্য করেছে এনডিএ সরকারও। যার ফলই গত ১০ বছরে ফলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।"

ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড (Department for Promotion of Industry and Internal Trade)-এর নির্দেশে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম) লক্ষ্ণৌ দ্বারা পরিচালিত ভারতের তৈরি খেলনার সাফল্যের গল্প শীর্ষক গবেষণায় কিছু পর্যবেক্ষণ চোখে পড়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৬ বছরের ব্যবধানে ২০১৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত এই উৎসর্গীকৃত প্রচেষ্টার ফলে খেলনা উৎপাদন ইউনিটের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, আমদানিকৃত ইনপুটগুলির উপর নির্ভরতা ৩৩ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে, মোট বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ শতাংশের একটি ক্রমবর্ধমান বার্ষিক বৃদ্ধির হার (CAGR) দ্বারা বিক্রয় মূল্য, এবং শ্রম উৎপাদনশীলতার সামগ্রিক বৃদ্ধি।

রিপোর্টে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া, আরব দেশগলি কিংবা বিশ্বের অন্যপ্রান্তেও বেড়েছে ভারতীয় খেলনার চাহিদা। ফলে ১০ বছরের দেশের বাজারে যেমন বিদেশি খেলনার চাহিদা কমেছে। ভারতে তৈরি খেলনার চাহিদা বেড়েছে বহুগুণে। আরও পড়ুন: Kannauj: যোগীরাজ্যে ফের বুলডোজার, ভিডিয়োতে দেখুন ভাঙা হচ্ছে গ্যাংস্টার মুন্না যাদবের বাড়ি