বিক্ষোভের আগুনে অসম (Photo Credits: IANS)

গুয়াহাটি, ১৯ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (CAB Protest) বিরোধিতায় ক্রমশ খারাপ হচ্ছে অসমের (Assam) পরিস্থিতি। তা আইনে পরিণত হতে যে প্রতিবাদ রূপ নিয়েছে আগুনে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে রাজ্যপ্রশাসন উত্তপ্ত অসমকে শান্ত করার ভার নিতে সেনাবাহিনী (Army) পর্যন্ত নামাতে বাধ্য হয়। রাজ্যের বেশিরভাগ শহরেই চলছে কার্ফিউ। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সংবাদ মাধ্যমগুলিকে অসমের উত্তেজনার খবর পরিবেশনেও নিষেধ করে। অশান্তির আঁচে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মেলে অসম থেকে। যদিও সরকারি মতে মৃতের সংখ্যা তিন। এমন পরিস্থিতে আসামে স্থগিত হয়ে গেল টেট পরীক্ষা। ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আগামী ২২ ডিসেম্বর। কিন্তু তাঁর পরিবর্তে ১৯ জানুয়ারি হতে চলেছে পরীক্ষা। আজ বৃহস্পতি বারই এই কথা ঘোষণা করেছে অসম মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

আজ এই প্রসঙ্গে তাঁরা এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, "আগামী ২২ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও, তা পিছিয়ে করে দেওয়া হয়েছে আগামী বছরের ১৯ জানুয়ারি।" এদিকে, পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে হয়, অসমের (Assam) অন্তত ১০টি জেলায় আরও ৪৮ ঘণ্টা ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গুজব রুখতে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। একইসঙ্গে ওদালগুড়ি, শোণিতপুর, ডিব্রুগড়, ডিমহাস সহ বেশ কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপারদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: CAB Protest: নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় অশান্তির চরম সীমায় অসম, পুলিশের গুলিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫

যদিও অসমে ইতিমধ্যেই ব্রডব্যান্ড পরিষেবা (Broadband Service) পুনরায় চালু করা হয়েছে।