কেরালার (Kerala) পালক্কাদ জেলায় একটি ১৫ বছর বয়সী অন্তঃসত্ত্বা হাতি (Pregnant Elephant) হত্যার তদন্তে পুলিশ একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। খবরে জানা গেছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম উইলসন। তদন্ত দল জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। তবে উইলসন ছাড়াও আরও দু'জনের নাম সোশ্যাল মিডিয়াতে, বিশেষত টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের উপদেষ্টা অমর প্রসাদ রেড্ডি একটি টুইটে দাবি করেন হাতি হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন আমজত আলি ও তামিম শেখ। তবে পরে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন। পরবর্তীতে তিনি একটি ব্যাখ্যা জারি করেন।" #জাস্টিস ফর এলিফ্যান্টের গর্ভবতী হাতি হত্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেরালার মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমার আগের পোস্টটি হাতির নিষ্ঠুর হত্যার বিরুদ্ধে, একেবারে নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে নয়। আমি স্বচ্ছ তদন্তের দাবি করছি।" আরও পড়ুন, কেরালায় অন্তঃসত্ত্বা হাতি মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ অভিযুক্ত
সাংবাদিক দীপক চৌরাসিয়াও এই টুইটটি শেয়ার করে দাবি করেছেন, হাতিটি হত্যার জন্য আমজাত আলি ও তামিম শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পরবর্তীকালে তিনিও টুইটটি সরিয়ে নেন। এই মামলায় কেবল একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার নাম উইলসন- ডিডি নিউজ মালায়ালামও তা জানিয়েছে। জনসেবা সম্প্রচারকারী জানিয়েছে যে আরও দুজন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তাদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। নেটিজেনদেরকে কোনও যাচাই না করা তথ্য শেয়ার না করার বা ঘটনার সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে না নেওয়ার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মাত্র একজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বোমা ভর্তি আনারস খেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যুর ঘটনায় গোটা দেশ মর্মাহত। সবাই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে। নানা ধরনের পোস্টে ছেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। দেশজুড়ে হইচই পড়তেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। জানানো হয় এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হবে ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই প্রসহ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, এই ঘৃণ্য অপরাধ ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী এই ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের কোনওরকম রেয়াত করা হবে না।