এই সেই হাতি (Photo Credits: ANI)

কেরালা, ৫ জুন: পালাক্কাদে অন্তঃসত্ত্বা হাতি (pregnant elephant) খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১ অভিযুক্ত। শুক্রবার এই খবর দিয়েছেন কেরালার বনমন্ত্রী কে রাজু। বোমা ভর্তি আনারস খেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যুর ঘটনায় গোটা দেশ মর্মাহত। সবাই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে। নানা ধরনের পোস্টে ছেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। দেশজুড়ে হইচই পড়তেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। জানানো হয় এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হবে ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই প্রসহ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, এই ঘৃণ্য অপরাধ ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী এই ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের কোনওরকম রেয়াত করা হবে না।

এই প্রসঙ্গে টুইটার পোস্টে রতন টাটা লিখেছেন, “আমি মর্মাহত, স্তম্ভিত। একটি অবোলা, গর্ভবতী হাতিকে কীভাবে বিস্ফোরক ভর্তি আনারস খাওয়াতে পারে মানুষ! কতটা নিষ্ঠুর হতে পারলে এই কাজ করা যায়।” এমন অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই। নিরীহ প্রাণীদের প্রতি এমন অপরাধমূলক আচরণ ঠাণ্ডা মাথায় মানুষ খুনেরই মতো, বলেছেন প্রবীণ শিল্পপতি। এই অপরাধের যথাযোগ্য বিচারের দাবিও করেছেন তিনি। কেরলের বনকর্তারা বলছেন, জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে বুনো শুয়োর বা ওই জাতীয় বন্যপ্রাণীর উৎপাত কমাতে গ্রামের সীমানায় বিস্ফোরক বা বাজি ফর্তি ফল বা আনাজ রেখে টোপ দেয় গ্রামবাসীরা। এমন বোমা বা বিস্ফোরক তারা নিজেরাই তৈরি করে। এই ঘটনার মাস কয়েক আগেও একটি স্ত্রী হাতিকে রক্তাক্ত শুঁড়, ক্ষতবিক্ষত মুখে গ্রামের সীমানায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ওই হাতিটিরও চোয়াল ভাঙা ছিল। যার থেকে অনুমান করা যায়, সেই হাতিটিও এমন বিস্ফোরক ভর্তি কোনও ফল বা আনাজ খেয়ে ফেলেছিল। আরও পড়ুন-World Environment Day 2020: পৃথিবীর জীববৈচিত্রকে সংরক্ষণ করুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে দেশবাসীকে আর্জি প্রধানমন্ত্রীর

গত ৩ জুন ঘটনাকে খুন হিসবে আখ্যায়িত করেন বিজেপি নেত্রী মানেকা গান্ধী। কেরলের মল্লপুরমের গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছিল গর্ভবতী হাতিটি। ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বনবিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, সম্ভবত খিদের জ্বালাতেই লোকালয়ে চলে এসেছিল হাতিটি। মানুষের কাছে খাবার পাবে এই বিশ্বাসই ছিল তার। এমন ভরসার জায়গা থেকেই বিপদ ঘনালো। বিস্ফোরক ঠাসা আনারস খেয়ে ফেলে মর্মান্তিক মৃত্যু হল মা হতে চলা হাতিটির।