Ahmedabad: মার্কিন প্রেসিডেন্টের যাত্রাপথে বস্তি, গরিবি ঢাকতে উঠছে ৭ ফুটের পাঁচিল
এই সেই বস্তি (Photo Credit: Twitter)

আমেদাবাদ, ১৪ ফেব্রুয়ারি: ইন্দো-মার্কিন বন্ধুত্বকে সুদূর প্রসারী করতে দুদিনের সফরে সস্ত্রীক ভারতে আসছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। দিল্লির পাশাপাশি তাঁর সফরসূচিতে রয়েছে আমেদাবাদও (Ahmedabad)। নরেন্দ্র মোদিকে তিনি জেন্টলম্যান বলে জানেন। আর আমেদাবাদ মোদির শহর। তিনি যে কতটা উন্নয়নের পন্থী তা ট্রাম্পকে জানাতে হলে নিজের শহরকে সাজাতে হবে। সবই ঠিকঠাক ছিল। গোল বাধালো একটা বস্তি, ট্রাম্পের যাত্রাপথেই তার অবস্থান। হাতে সময় পেলে হয়তো সেই বস্তিই উড়িয়ে দিতেন নমো। কিন্তু কী আর করা যায়, বস্তি সরাতে না পারলেও দারিদ্র্যের মুখ ঢাকতে পাঁচিল তো উঠতেই পারে। উন্নয়নের পাঁচিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট যাতে বস্তি না দেখতে পান সেজন্য তড়িঘড়ি পাঁচিল দেওয়া হচ্ছে।

এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। মোদির জমানায় উন্নয়নকে ধামাচাপা দেওয়া নতুন কোনও ব্যাপার নয়। তবে মার্কিন বন্ধুর আগমনে নিজের রাজ্যের দাঁত বেরনো চেহারা ঢাকতে তাঁর যা তৎপরতা তা বেশ হাসির খোরাক জুগিয়েছে সন্দেহ নেই। তবে তিনি একাই নন, এই তালিকায় রয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-ও। ২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা হায়দরাবাদ সফরে আসেন। সেসময়ও রাতারাতি হায়দরাবাদ শহরের রাস্তাঘাট থেকে সমস্ত ভিখারিদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। যদিও ইভাঙ্কার সফরের সঙ্গে ভিখারি উচ্ছেদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে তখন রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল। যাইহোক তাতে বিতর্কে মোটেও জল পড়েনি। আরও পড়ুন-Pravasi Bhartiya Kendra Renamed As Sushma Swaraj Bhawan: জন্মদিনে শ্রদ্ধা, দিল্লির প্রবাসী ভারতীয় কেন্দ্র এখন থেকে সুষমা স্বরাজ ভবন

ফের সেই একই কাণ্ড ঘটায় জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। আর কাণ্ড ঘটিয়েছেন কোনও মুখ্যমন্ত্রী নন, প্রধানমন্ত্রী। আর আমেদাবাদ তাঁর নিজের শহর। বিতর্ক থামাতে সরকারি কর্তারা আসরে নেমে পড়েছেন। তাঁরা বলছেন, ট্রাম্পের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এই পাঁচিল উঠেছে। বস্তির ছোঁয়াচ বাঁচানোর প্রসঙ্গ নেই। তাছাড়া শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে গেলে বস্তিকে তো পাঁচিলে ঢাকতে হবেই।

জানা গিয়েছে, আমেদাবাদ বিমানবন্দরের অবতরণের পরে ট্রাম্পের কনভয় যে পথ দিয়ে যাবে সেখানে একটি বস্তি আছে। এই বস্তিতে প্রায় ৮০০ পরিবারের বসবাস। আর এই বস্তি প্রশাসনিক কর্তাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে তড়িঘড়ি শহরের 'সৌন্দর্যায়ন ও স্বচ্ছতায়' ওই বস্তি ঘিরে ৪০০ মিটার লম্বা এবং সাত ফুট উঁচু পাঁচিল দেওয়া হচ্ছ। যত দ্রুত সম্ভব এই কাজ শেষ করতে কমপক্ষে দেড়শো কর্মী দিনরাত কাজ করছেন।