পি চিদম্বরম(Photo Credit: ANI)

দিল্লি, ২০ আগস্ট: আইএনএক্স মিডিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ঘোরতর বিপাকে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। গতকাল এয়ার ইন্ডিয়া ১১১ বিমান ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তাঁকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। রাত পোহাতে না পোহাতেই দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)চিদম্বরমের রক্ষা কবচের আর্জি (anticipatory bail plea) খারিজ করে দিল। আইএনএক্স মিডিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে, তারই তদন্তে চিদম্বরমকে (P Chidambaram) হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই ও ইডি। তবে চেয়েও তা পাচ্ছে না এই দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কেননা গ্রেপ্তারি এড়াতে বার বার দিল্লি হাইকোর্টের রক্ষা কবচ তাঁকে বাঁচিয়ে দিচ্ছিল।

তবে শেষরক্ষা হল না। গত ২৫ জুলাই চিদম্বরমের গ্রেপ্তারিতে অন্তর্বর্তিকালীন রক্ষা কবচ দিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুনীল গৌর। ওই দিনই রায়ের দিন ঘোষণা করেন মঙ্গলবার। আজ সেই মঙ্গলবার বিচারপতি গৌর চিদম্বরমের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন। এখন আইএনএক্স মিডিয়ায় বিনিয়োগ নিয়ে যে অসঙ্গতি রয়েছে সেই মামলায় জেরার জন্য চিদম্বরমকে গ্রেপ্তার করতে ইডি বা সিবিআই-কে আর কোনও বাধার মুখে পড়তে হবে না। ২০০৭-এ ইউপিএ জমানায় পি চিদম্বরম কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকার সময় আইএনএক্স মিডিয়ায় ৩০৫ কোটির বিদেশি অনুদানের অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই সময় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রকের অধীন ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ডের (এফআইপিবি) অনুমোদন নিতে হত। অভিযোগ, এই সেই সময় আইএনএক্স মিডিয়ায় ৩০৫ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগে বেআইনি ভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এরপরই তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে ওই ৩০৫ কোটি টাকা যে সংস্থায় ট্রান্সফার হয়েছিল, সেটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন চিদম্বরমের ছেলে কার্তি চিদম্বরম। ইডির আরও দাবি, কার্তির হস্তক্ষেপেই এফআইপিবি এই বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল। আরও পড়ুন-P Chidambaram on INX media case: আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় চিদম্বরমকে হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই, রক্ষা কবচ খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট

তবে এখানেই শেষ নয়, এয়ারসেল-ম্যাক্সিস চুক্তিতেও ৩৫০০ কোটির আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ রয়েছে চিদম্বরম এবং তাঁর ছেলে কার্তির বিরুদ্ধে। এবার রক্ষা কবচ উঠে যাওয়ায় দুটি মামলাতেই চিদম্বরমকে হেফাজতে নেওয়া যাবে। এই আইএনএক্স মিডিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগে আর্থিক অসঙ্গতি সংক্রান্ত বিষয়ে ২০১৭-র ১৫ মে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। অন্য দিকে ২০১৮ সালে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ দায়ের করে ইডি-ও। তারপর থেকেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। বেশ কয়েক বার বাবা ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদও করলেও এবার হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদরে ছাড়পত্র পাবে ইডি-সিবিআই। তবে এবার সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।