Voting. File Picture

দিল্লিতে আজ, রবিবার চলছে পুর নিগমের নির্বাচন (MCD)। এবার দেশের রাজধানী শহরের পুরভোট আকারে অনেক বড়। এতদিন দিল্লিতে আলাদা আলাদা তিনটি পুরসভা ছিল। ১৯৫৮ সালে গঠিত হওয়া দিল্লি পুরনিগম গত দশকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছিল। চলতি বছর একবার জুড়ে যায় তিনটি পুরনিগম। নরেন্দ্র মোদী সরকার পুরো দিল্লিকে একটা পুরনিগমের মধ্যে আনার পর প্রথম ভোট। কলকাতায় যেমন ১৪৩১টি ওয়ার্ড নিয়ে একটা পুরসভা। তেমনই দিল্লিতে মোট ২৫০টি ওয়ার্ড হয়েছে। এই ২৫০টি ওয়ার্ডে জনপ্রতিনিধি বাছতে দিল্লিতে চলছে ভোট। দিল্লি পুরনিগমে আজ ভোট দিতে চলেছেন ১ কোটি ৪৫ লাখ ৫ হাজার ৩৫৮ জন ভোটার। মোট ১৩৪৯ জন প্রার্থীর ভাগ্যনির্ধারণ হতে চলেছে।

পুর নির্বাচন হলে হবে কী এবার দিল্লির MCD ভোট একেবারে বড় ভোটের মর্যাদা পেয়েছে। গোটা দেশে সাফল্য পেলেও দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঝড়ের কাছে বারবার উড়ে যাচ্ছে বিজেপি। এবার তাই কেজরিকে পুর নির্বাচনে হারাতে বিজেপি যেন আদাজল খেয়ে লেগেছে। স্থানীয় বড় নেতা, বিধায়ক, সাংসদরা তো বটেই হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা পর্যন্ত দিল্লির পুরনিগমের নির্বাচনে প্রচার সেরেছেন। লক্ষ্য একটাই দিল্লিতে আপ ঝড় থামানো। আরও পড়ুন-১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতীয় নৌসেনার কাছে ধরাশায়ী পাক-বন্দর করাচি, সফল ‘অপারেশন ট্রাইডেন্ট’

দেখুন টুইট

কেজরির কাছে এই ভোট বড় চ্যালেঞ্জের। কারণ তাঁর দলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে বড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে জেল খাটছেন কেজরি মন্ত্রিসভার সদস্য সত্যেন্দ্র জৈন। আবগারী দুর্নীতি কাণ্ডে যে কোনও দিন জেলে যেতে হতে পারে উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আপ-এর অঘোষিত নম্বর টু মনীশ সিসোদিয়া। কেজরিওয়ালের অভিযোগ, তাঁকে হারাতে না পেরেই রাগে তাঁর দলের নেতা-মন্ত্রীদের ষড়যন্ত্র করে জেলে পাঠাচ্ছে বিজেপি। বিজেপি-র অভিযোগ, আপ পুরোটাই দুর্নীতিতে ভরা। কেজরির ওপর দিল্লিবাসীর আস্থা এখনও অটুট কি না তা দেখা যাবে এই নির্বাচনে।