নতুন দিল্লি, ৭ ফেব্রুয়ারি: শুক্রবার বিদেশমন্ত্রী ডক্টর এস জয়শংকর (MEA S Jaishankar) রাজ্যসভায় জানান, চিনের উহানে এখনও ৮০ জন পড়ুয়া রয়েছেন। তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এরমধ্য়ে ৭০ জন পড়ুয়া দুটি ফ্লাইটে উহান থেকে ভারতে আসতে চাননি। সে কারণেই বিদেশমন্ত্রক ওই পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বিদেশমন্ত্রী এদিন সংসদের উচ্চকক্ষে বলেন, “প্রায় ৮০জন ভারতীয় পড়ুয়া এখনও উহানে রয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১০জনকে দেশে ফেরানোর তোরজোর শুরু হয়। তবে বিমান বন্দরে আসার পর দেখা যায় তাঁর জ্বরে ভুগছেন। তাই উহানের প্রশান ওই পড়ুয়াদের বিমানে চড়তে দেয়নি। বাকি ৭৭০ জন পড়ুয়াও উহানে থেকে য়াওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দূতাবসের তরফে প্রত্যেক পড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছেষ সমগ্র পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা চলছে।”
জানা গিয়েছে, ভারতীয় বিমান শুধু দেশের পড়ুয়াদের নিতেই উহানে যায়নি। উহানের বিমানবন্দর থেকে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদেরও আনার কথা ছিল। তবে সাতজন মালদ্বীপের নাগরিক বিমানে উঠেছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন জানান, মালদ্বীপ, ভুটান ও আফগানিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশকে এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহয়তা করছে ভারত। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিতে যাতে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা হতে পারে সেজন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ টেস্ট স্যাম্পল দিতেও প্রস্তুত। করোনা আতহ্কে ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তাই বৃহস্পতিবার চিন বা লাগোয়া দেশগুলি থেকে আসা জাহাজ মুম্বইয়ের সমুদ্র বন্দরে নোঙর করতে পারবে না। যেসব ক্রু ও যাত্রীরা গত একমাসে চিন থেকে ভারতে এসেছেন তাঁরা আর বন্দরে যেতে পারবেন না। এমনকী, প্রকাশ্যে ভ্রমণও নিষিদ্ধ হয়েছে। আরও পড়ুন-JEE Main 2020 April Examination: জয়েন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষা আগামী এপ্রিলে, ওয়েবসাইটে ফর্ম প্রকাশ এনটিএ-র
EAM Dr S Jaishankar in Rajya Sabha: 70 of them chose to stay in Wuhan and not get evacuated by the two flights. The embassy is in touch with all the students and we regularly monitor their situation.(2/2) #Coronavirus https://t.co/VEzkTS591Y
— ANI (@ANI) February 7, 2020
যাঁরা চিনে থাকেন বা ১৫ জানুয়ারির পর চিন ছেড়েছেন সেইসব ভ্রমণার্থীরা ইন্দো নেপাল, ইন্দো ভুটান, ইন্দো মায়ানমার, ইন্দো বাংলাদেশ এই পথে ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাঁদের ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি। যত চাইনিজ পাসপোর্টধারীর ভিসা ইস্যু হয়েছে তা ইতিমধ্যেই স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। তবে হংকং, ম্যাকাও থাইল্যান্ডের পাসপোর্ট যাঁদের কাছে রয়েছে তাঁরা শুধু ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন।