দিল্লিতে অশান্তির ছবি (Photo: IANS)

নতুন দিল্লি, ২৫ জানুয়ারি: হিংসার আগুনে জ্বলছে রাজধানী দিল্লি। মৌজপুর, ব্রহ্মপুরী, ভজনপুরা চক, গোকুলপুরীর মত বিভিন্ন এলাকায় লেগে রয়েছে দফায় দফায় সংঘর্ষ। মৃতের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। মৃত বেড়ে ১০। আহত সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০০। যদিও সন্ধায় সাংবাদিক বৈঠক করে দিল্লি পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আহতদের মধ্যে ৫৬ জন পুলিশকর্মী। বিভিন্ন এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। খতিয়ান বলছে অগ্নিগর্ভ দিল্লিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক সাংবাদিকও (Journalists)।

জানা গিয়েছে, মৌজপুরে খবরে গিয়ে আক্রান্ত সাংবাদিক হন ওই সাংবাদিক। আহত হয়েছেন আরও এক সাংবাদিক। গোকুলপুরীর বাজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে গিয়েছে বহু দোকান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুপক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভজনপুরা চক। নাগরিকত্ব আইনের সমর্থক ও বিরুদ্ধের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সেই থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত। এই সময়ের খবর অনুযায়ী, জ্বালিয়ে দেওয়া হল বহু দোকান। ভজনপুরা, চাঁদবাগ ও কারাওয়ালনগরের রাস্তায় লাঠি ও রড হাতে দাপিয়ে বে়ড়াল বহু মানুষ। মৌজপুরে একাধিক গাড়ি ও দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি কভার করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ (Shoot Out) হয়েছেন এক সাংবাদিক। গোকুলপুরীতে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। দু'পক্ষের মধ্যে পাথরবৃষ্টি শুরু হয়েছে। মুখ ঢেকে পাথর ছুড়তে দেখা যায় কয়েকজনকে। আগুন লাগানো হয় ২টি গাড়িতে। অশান্তির আশঙ্কায় বন্ধ ৫টি মেট্রো স্টেশন। জাফরাবাদ, মৌজপুর-বাবারপুর, গোকুলপুরি, শিব বিহার ও জোহরি এনক্লেভ মেট্রো স্টেশনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেখানে কোনও ট্রেন দাঁড়াবে না। ওই এলাকায় ১৪৪ ধারাও জারি হয়েছে। দিল্লির আরও ১০ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আরও পড়ুন: Bihar Assembly: রাজ্যে এনআরসি হবে না, রেসোলিউশন পাস করল বিহার বিধানসভা

মঙ্গলবার পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিল্লির সমস্ত স্কুল বন্ধ (School Closed) রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। জাফরাবাদ, মৌজপুর-বাবরপুর তো বটেই, তার সঙ্গে আরও তিনটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে ওই লাইনে মেট্রো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। দিল্লির উত্তেজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১২ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠকের ডাকেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।