Dead Lizard in Sabarimala Offering: শবরীমালার প্রসাদে মরা টিকটিকি! তদন্তের নির্দেশ দিল কেরালা পুলিস
শবরীমালার প্রসাদে মরা টিকটিকি (Photo Credits: Pixabay and Wikimedia)

তিরুবনন্তপুরম, ২৬ নভেম্বর: শবরিমালায় (Sabarimala) প্রবেশ করবেন বলে মহিলাদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের যোদ্ধা-সমাজকর্মী ত্রুপ্তি দেশাই (Trupti Desai) পৌঁছে গিয়েছেন কেরালায় (Kerala)। আজ সংবিধান দিবস, তাই শবরিমালায় প্রবেশের জন্য এই দিনটিকে বেছে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে নিজের সহকারিদের সঙ্গে নিয়ে সাত সকালেই কোচি বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিক্ষোভ। ত্রুপ্তি দেশাইয়ের উপস্থিতি টের পেয়ে ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরে বিক্ষোভকারীদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। শবরীমালা নিয়ে সকাল থেকে এই বিতর্ক যেমন চলছে, তেমনই এদিন নতুন মোড়কে মাথা চারা দিয়েছে এক পুরনো বিতর্ক।

কিছুদিন আগেই এক ভক্ত নালিশ জানিয়েছিলেন, শবরীমালার প্রসাদ আরাবানা পায়সমের প্যাকড টিনের ভিতরে মরা টিকটিকে রয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গত সোমবার কেরালার ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিস লোকনাথ বেহরা তদন্তের নির্দেশ দেন অতিরিক্ত ডিজিপিকে। হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, কেরালা পুলিসের মুখপাত্র ভি পি প্রমোদ কুমার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ডিজিপি অভিযোগ পেয়েছেন। অতিরিক্ত ডিজিপি পরবেশ সাহিবকে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। দ্রুত তদন্তের রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে অভিযোগ সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তিরুবনন্তপুরম (Thiruvananthapuram) থেকে শবরীমালায় তীর্থ করতে আসা এক পুণ্যার্থী শবরীমালার প্রসাদ হিসেবে ১২ ক্যান পায়েস কিনেছিলেন। বাড়ি ফিরে তারই একটি খুলে দেখেন ভিতরে ভেসে উঠেছে মরা টিকটিকি! যদিও মন্দিরের এক মুখপাত্র বিষয়টিকে অন্তর্ঘাত বলেই চিহ্নিত করেছেন। তাঁর দাবি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবেই তৈরি করা হয় মন্দিরের প্রসাদ। আরও পড়ুন: Sabarimala Temple: আজ শবরিমালায় প্রবেশ করবই কেউ আটকাতে পারবে না, কোচি পৌঁছে জানান দিলেন সমাজকর্মী ত্রুপ্তি দেশাই

আরাবনা পায়েস তৈরি হয় চাল, গুড়, ঘি, নারকেল, জিরেগুঁড়ো, এলাচ দিয়ে। মন্দিরের (Temple) প্রায় ৬০ শতাংশ আয় আসে এখান থেকেই। তীর্থযাত্রার মরশুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই এই বিশেষ পায়েস তৈরির কাজ শুরু করে দেয় মন্দিরের প্রোডাকশন ইউনিট। এই মরশুমে প্রতিদিন ২৫০ গ্রাম ওজনের প্রায় ৪৮ হাজার ক্যান বিক্রি হয়। এবছরও আনুমানিক ২ কোটি পায়েসের টিন তৈরি করার কথা রয়েছে ট্রাভাঙ্কোর দেবাসম বোর্ডের।