ফাইল ছবি

দিল্লি, ২৪ জুলাই: কোভিডের (COVID 19) তৃতীয় ঢেউ কবে থাবা বসাচ্ছে? করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউয়ের আক্রমণাত্মক ক্ষমাতা কম হবে? এমন একাধিক প্রশ্ন রয়েছে গোটা দেশের মানুষের মধ্যে? ফেল কোভিডের তৃতীয় ঢেউ (Corona Third Wave) নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক কেন্দ্রীয় সরকার।

এইমসের (AIIMS) ডিরেক্টর চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া (Dr Randeep Guleria) বলেন, মহামারীর নিয়ম মেনে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের যখন আছড়ে পড়ার কথা ছিল, তার তুলনায় বেশ দেরিতেই থাবা বসাচ্ছে। ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় করোনার তৃতীয় ঢেউ অনেক কম ভয়ানক হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন গুলেরিয়া। তবে সময় মতো টিকাকরণ এবং কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। টিকার বাঁধন এবং নির্দিষ্ট কোভিড বিধি মেনে চললে তবেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা কমতে পারে বলেও সতর্ক করেন গুলেরিয়া।

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যখন আছড়ে পড়ে, সেই সময় গোটা দেশে হাসপাতালগুলিতে শয্যার অপ্রতুলতা, চিকিৎসার উপযুক্ত সরঞ্জাম না থাকায়, সংক্রমণের মাত্রা চড়চড়িয়ে বাড়তে শুরু করে। যার জেরে গোটা বিশ্বের নজর পড়ে ভারতের উপর। ফলে সংক্রমণের মাত্রা এখন অনেকাংশে কমে গিয়েছে। এসবের মাঝেই নির্দিষ্টভাবে টিকাকরণ এবং কোভিড বিধি মেনে চললে, তবেই তৃতীয় ঢেউকে রুখে দেওয়া সম্ভব। তবে দেশের ৪০ কোটি মানুষ এখনও ভয়ঙ্কর জায়গায় রয়েছেন। পাশাপাশি দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে সম্প্রতি সেরো সারভে-তে উঠে এসেছে বলে জানান এইমস ডিরেক্টর। তৃতীয় ঢেউকে রুখতে তাই নির্দিষ্ট কোভিড বিধি পালন করা জরুরি বলে মনে করেন এইমস প্রধান।

আরও পড়ুন: Pakistan: বাড়ছে তালিবান আধিপত্য, আফগানিস্তান সীমান্তে প্রতিদিন সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান

পাশাপাশি কোভিডের তৃতীয় ঢেউ কবে আছড়ে পড়বে ভারতে (India) , সে বিষয়ে কেউ কিছু জানেন না। ফলে ভবিষ্যতে সংক্রমণ বাড়তেও পারে। কোভিড সংক্রমণে রাশ টানতে তাই প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান রণদীপ গুলেরিয়া।

তিনি বলেন, মানুষের জীবনধারার উপর নির্ভর করছে, তৃতীয় ঢেউ কতটা মারাত্মক হতে পারে। যত বেশি করে মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনা যাবে, তত কম প্রভাব পড়বে তৃতীয় ঢেউয়ের। ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের চেয়ে অনেক কম শক্তিশালী হবে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ।