ইসলামাবাদ, ২৪ জুলাই: আফগানিস্তান সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই নতুন করে সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান (Pakistan)। মার্কিন এবং ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সরে যাওয়ার পর যেভাবে সে দেশে তালিবান আধিপত্য বাড়ছে, তাতে আশঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছে পড়শি দেশেও। তার জেরেই পাক-আফগান সীমান্তে প্রতিদিনই সেনা বাহিনী মোতায়েন করছে ইমরান খান সরকার।
ডন-এর খবর অনুযায়ী, আফগানিস্তান থেকে সীমান্ত পার করে তালিবান জঙ্গিরা যাতে কোনওভাবে পাকিস্তানে প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্যই নেওয়া হয়েছে উপযুক্ত ব্যবস্থা। বালোচিস্তান সহ পাকিস্তানের অন্য জায়গা থেকে বাহিনীকে তুলে এনে নতুন করে মোতায়েন করা হচ্ছে আফগান সীমান্তে। তালিবান আধিপত্যে লাগাম পরাতেই পাক সরকারের তরফে নেওয়া হয়েছে ওই সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: Taliban: জইশ, লস্কর, আল কায়দার মতো পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে তালিবান যোগ, হুঁশিয়ারি
পাক সরকারের তরফে জানা যাচ্ছে, আফগানিস্তানে তালিবান আধিপত্য বাড়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই সেখান থেকে শরণার্থীরা সে দেশে প্রবেশ করছেন। শরণার্থীদের সঙ্গে জঙ্গিরাও প্রবেশ করছে বলে জানা যাচ্ছে পাকিস্তানের তরফে। সেই কারণেই আফগান সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। অবৈধভাবে সীমান্ত পার করে যাতে কেউ পাকিস্তানে প্রবেশ করতে না পারে, সে দিকে নজর রাখা হয়েছে। আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে যাতে কোনও জঙ্গি েপ্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে বলে জানান পাক মন্ত্রী।
এদিকে তালিবানরা (Taliban) পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দা, লস্কর-ই তইবাদের সঙ্গে যোগসাজস করে কোনওভাবে আফগানিস্তানের ক্ষতি করতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি আশরফ ঘানি। তিনি বলেন, লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, আল-কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আফগানিস্তানকে (Afghanistan) বধ্যভূমি তৈরি করা যাবে না কিছুতেই। বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানান আশরফ ঘানি (Ashraf Ghani)।