সংগৃহীত ছবি

কাবুল, ২১ জুলাই: তালিবানরা যেন সাবধানে থাকে। ইদুজ্জোহার সকালে তালিবানদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন আফগানিস্তানের রাষ্ট্র্রপতি আশরফ ঘানি। তিনি বলেন, লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, আল-কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আফগানিস্তানকে (Afghanistan) বধ্যভূমি তৈরি করা যাবে না কিছুতেই। বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানান আশরফ ঘানি (Ashraf Ghani)।

ইদুজ্জোহার সকালে তালিবানদের বিরুদ্ধে কাযত সুর চড়ান আফগান রাষ্ট্রপতি (Afghanistan President )। তিনি বলেন, বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে, তাদের সঙ্গে তালিবান কী চুক্তি করেছে, তা দেশের মানুষ জানেন না। তাই বিদেশি জঙ্গিদের কোনওভাবেই আফগানিস্তানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানান সে দেশের রাষ্ট্রপতি।

তালিবানরা (Taliban) দেশরে বিভিন্ন অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত করছে। বেশ কিছু জায়গায় রাজনৈতিক নেতাদের ভয় দেখিয়ে এলাকা দখল করতে চাইছে। কিন্তু বিদেশি জঙ্গিদের যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে আফগানিস্তানকে তৈরি করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানান আশরফ ঘানি।

আরও পড়ুন: Earthquake: রাজস্থানে জোর ঝটকা, মেঘালয় থেকে লেহ, লাদাখ, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল একাধিক রাজ্য

বুধবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে ইদের নামাজ পড়েন আশরফ ঘানি। এরপরই দেশের সেনা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। দেশের সেনা বাহিনীর যেভাবে অকুতোভয় হয়ে তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাতে তাদের সাহস এবং স্পর্ধার প্রতি কুর্ণিশ জানান আফগান রাষ্ট্রপতি।

সম্প্রতি কাতারের দোহায় আফগান দূত অবদুল্লা আবদুল্লার সঙ্গে তালিবানরা বৈঠকে বসে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে আশরফ ঘানি জানান, দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। সেই কারণেই দোহায় প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে তালিবানদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হয় কিন্তু সেই প্রচেষ্টা কার্যত ব্যর্থ। তালিবানরা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় না বলেও তোপ দানে আফগান রাষ্ট্রপতি।

আরও পড়ুন:  Raj Kundra: পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগ, রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে নীরবতা ভাঙলেন কঙ্গনা

পাশাপাশি যাঁরা আফগানিস্তানের নাগরিক, তাঁরা দেশকে সুসংহত, ঐক্যবদ্ধ করতে এগিয়ে আসুন। শান্তি প্রতিষ্ঠা করে দেশের মানুষকে সম্মান দিন। বিশেষ করে মহিলাদের। ইদুজ্জোহার সকালে তালিবানদের প্রতি এমনই বার্তা দিতে শোনা যায় আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতিকে।

এসবের পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ৫ হাজার তালিবানকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে ধরা পড়ার পরও জেল থেকে রেহাই দেওয়া হয় তাদের। ভুল শুধরে তালিবানরা যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, তার জন্যই ওই প্রচেষ্টা শুরু হয়। তবে ৫ হাজার তালিবানকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে আফগান সরকার ভুল করেছে বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় আশরফ ঘানিকে।