নতুন দিল্লি, ২১ জুলাই: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Oxford University) করোনা টিকার (Corona Vaccine) প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা সফল। সোমবার এই টিকার ফল ঘোষণা হয়। এই টিকা 'নিরাপদ' বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এটি দুর্দান্তভাবে কাজে দিচ্ছে। সোমবার ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute) জানিয়েছে, যে তারা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবে।
পুনের এই ফার্মটি বিশ্বজুড়ে উত্পাদিত এবং বিক্রি হওয়া টিকার সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ব্যাপক উত্পাদন করতে এটি বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে। ভারত বিশ্বের জেনেরিক ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরির বৃহত্তম দেশগুলির মধ্যে একটি। আরও পড়ুন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা টিকার প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে ব্যাপক সাফল্য, ভ্যাকসিন 'নিরাপদ'
এই ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ের মানব শরীরে ট্রায়াল শেষ করেছে, এটি জনসাধারণে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত। ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা আশাব্যঞ্জক।’ ‘দ্য ল্যানসেট’ জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়। অক্সফোর্ড করোনভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম/ দ্বিতীয় পরীক্ষার ফলাফল, পরিশেষে পিয়ার-রিভিউ করা ব্রিটিশ জার্নাল ল্যানসেটে সোমবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয়, এটি অত্যন্ত প্রত্যাশিত ছিল। তৃতীয় এই ভ্যাকসিনের নাম AZD1222। মে মাসে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। এরপর প্রায় ১০,০০০ মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়। যা ব্যাপক সাফল্য দেয়। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ভ্যাকসিন বানাতে হবে, না হলে ফল হতে পারে মারাত্মক।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি ২৮ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া এবং ১৪ দিনের মধ্যে একটি টি-সেল প্রতিক্রিয়া জানায়। নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডিগুলি, যা ভাইরাসকে অক্ষম করতে পারে, যাদের ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয় তাদের বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারীদের এক শট পরে এবং দুটির পরে এই বুষয়টি সনাক্ত করা হয়।