'কম্পিউটার বাবা' যখন 'কপ্টার বাবা', নর্মদার উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে করলেন হেলিকপ্টারের দাবি
কম্পিউটার বাবা-নামদেও দাস ত্যাগি। (Photo Credits: ANI/File)

ভোপাল, ৫ জুন: 'কম্পিউটার বাবা'(Computer Baba) কাজ শুরু করে দিলেন। স্বঘোষীত ধর্মগুরু নামদেও দাস ত্যাগি মধ্যপ্রদেশে নর্মদা ট্রাস্ট ( Namdev Das Tyagi) দায়িত্ব নিয়েই চেয়ে বসলেন হেলিকপ্টার। ধর্মগুরু নামদেও দাস ত্যাগি-কে গোটা দেশ চেনে কম্পিউটার বাবা নামে। আর কম্পিউটার বাবাকে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ডাকা হচ্ছে কপ্টার বাবা নামে। নর্মদা নদীর বর্তমান অবস্থা বিচারের জন্য কম্পিউটার বাবা মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের কাছে হেলিকপ্টার চাইলেন। মূলত নর্মদা নদীর উন্নয়নের জন্যই এই ট্রাস্ট করা হয়েছে। কম্পিউটার চালনায় তুখোড়, হেলিকপ্টার ছাড়া যাতায়াত করেন না। অনায়াসে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন তিনি। সে কারণেই 'কম্পিউটার বাবা' হিসাবে তিনি পরিচিত।

সাংবাদিকদের কাছে কম্পিউটার বাবা জানান, ''আকাশ পথে নদীর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য হেলিকপ্টার প্রয়োজন তা আমি সরকারকে জানিয়েছি।''পাশাপাশি তিনি জানান নর্মদার পাশাপাশি শিপ্রা এবং মন্দাকিনী নদীর সংরক্ষণে কাজ করবে এই ট্রাস্ট। নদী তীরবর্তী এলাকার গ্রামের যুবকদের নিয়ে তৈরি করা হবে নর্মদা যুব সেনাও গড়ছেন কম্পিউটার বাবা। এই ট্রাস্ট কাজ শুরু করার পরই সবার আগে যা করল তা হল টোল ফ্রি একটি টেলিফোন নম্বর। 'মা নর্মদা' নামে ওই টোল-ফ্রি হেল্পলাইন নম্বরে ফোনে নদীকে ঘিরে যে কোনও বেআইনি কাজকর্ম নিয়ে সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানাতে পারবেন। আরও পড়ুন-

পরে কম্পিউটার বাবা-র নেতৃত্বে সেই ট্রাস্ট দল অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। ধর্মীয় সংক্রান্ত দফতরের মন্ত্রী পিসি শর্মা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংয়ের উপস্থিতিতে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন কম্পিউটার বাবা। ১৭ সদস্যের নর্মদা ট্রাস্টের দায়িত্ব নিয়েই 'কম্পিউটার বাবা' বুঝিয়ে দিলেন তিনি কতটা আধুনিকভাবে কাজ করতে চান।

লোকসভা নির্বাচনে ভোপালে বিজেপি-র সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরকে হারাতে কম্পিউটার বাবা-র দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী দিগ্বিজয় সিং। যদিও তাতে লাভ হয়নি। সাধ্বী বড় ব্যবধানে হারান দিগ্বিজয়কে। একটা সময় অবশ্য কম্পিউটার বাবা বিজেপি-র সঙ্গেই ছিলেন। মধ্যপ্রদেশে বিজেপি-র প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সরকারের প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। যদিও বিজেপির সঙ্গে সখ্য বেশিদিন টেকেনি। শিবরাজ আলাদা করে গোমন্ত্রক তৈরি করলে সেখানে জায়গা না মেলায় ইস্তফা দেন প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে। আর তারপরেই কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার।