প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Photo Credit: ANI)

নতুন দিল্লি, ১১ ফেব্রুয়ারি: শীত বিদায়ে প্যাংগংলেকের বরফ গলতে শুরু করেছে। অবশেষে বছর ভর দুশমনি বজায় রাখার পর ফের আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের রাস্তা খুঁজে পেয়েছে ভারত চিন। নয় দফা বৈঠকের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা-সহ লাদাখের আরও বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা সরানোর প্রস্তাবে দু’পক্ষ সহমত হয়েছে। এনিয়েই লোকসভায় বক্তব্য রাখলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ভারত বরাবরই জোর দিয়েছে। গতবছর চিনের  আমরা সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলাপ আলোচনা চালিয়েছি। তিনটি নীতির ভিত্তিতে সমাধান চাই। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে উভয়পক্ষকেই সহমত হতে হবে। স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করার চেষ্টা চলবে না। সব ধরনের সমঝোতায় সহমত হতে হবে দু'পক্ষকে।” আরও পড়ুন-Govt On Twitter: এখানে কাজ করতে হলে ভারতের সংবিধান মানতে হবে, টুইটারকে কড়া হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের

সীমান্ত ইস্যুতে চিনকে বরাবর কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কয়েকদিন আগে সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে চিনের উদ্দেশে স্পষ্ট ভাষায় বার্তা দিয়েছেন বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে পূর্ব লাদাখে অচলাবস্থা কাটাতে বদ্ধপরিকর ভারত। কিন্তু, কেউ যাতে ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়ার ভুল চেষ্টা না করেন। এদিকে সম্প্রতি, পূর্ব লাদাখে সীমান্ত বিবাদের আবহেই সিকিম সীমান্তের কাছে নাকু লা-তে সংঘর্ষে জড়ায় দু'দেশের সেনা। সূত্রের খবর, লাল ফৌজ ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। তা রুখতেই বাধে সংঘর্ষ। আরও জানা যায়, তবে, শেষ পর্যন্ত ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা বাহিনীর অনুপ্রবেশ রুখে দিয়েছিলেন জওয়ানরা। সংঘর্ষের ঘটনায় লাল ফৌজের বেশ কয়েকজন সেনা কর্মী জখম হয়েছিলেন বলে খবর। যদিও স্বাভাবিকভাবেই চিনের পক্ষে তা স্বীকার করা হয়নি।

গত বছরের ১৫ জুন গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ হারান ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। এই সংঘর্ষে চিনেরও ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছিল কেন্দ্র সরকার। যদিও সে ব্যাপারে কোনও তথ্য দেয়নি শি জিনপিং সরকার। আগস্টের শেষে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা। প্রায় ৪৫ বছর পর সীমান্তে গুলি চালানোর খবর আসে।