টুইটার লোগো (Photo courtesy: Twitter)

নতুন দিল্লি, ১১ ফেব্রুয়ারি: ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষক বিক্ষোভে দিল্লি জুড়ে যে অরাজকতা চলেছে তার নেপথ্যে টুইটারের (Twitter) ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করে কেন্দ্র। এই কারণে সরকার বিরোধী বেশকিছু অ্যাকাউন্টকে বন্ধ করার নির্দেশিকা টুইটারকে দিয়েছিল কেন্দ্র। তার মধ্যে ২৫৭টি অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার পরে টুইটার জানায়, সাংবাদিক, সংবাদকর্মী, রাজনীতিবিদদের অ্যাকাউন্ট ব্লক করা যাবে না। কৃষক আন্দোলন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে টুইটারের তু তু ম্যায় ম্যায় সম্পর্ক বহাল রয়েছে। একাধিক অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে দেওয়ার কেন্দ্রীয় প্রস্তাব বুধবারই পাশ কাটিয়েছিল টুইটার। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ কেন্দ্র এবার জানিয়েছে, দেশে ব্যবসা করতে গেলে ভারতীয় আইনকে মেনে চলতে হবে। সংস্থার নিজের সংবিধানে যা খুশি লেখা থাকুক, ব্যবসা করতে গেলে মানতে হবে ভারতের আইন।

১ হাজার ১৭৮টি অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশিকা দিয়েছিল কেন্দ্র। তার উত্তরে বুধবার টুইটার জানায়, বাক‌স্বাধীনতার পক্ষেই তারা সওয়াল করে যাবে। ভারতীয় আইন লঙ্ঘন না করে অ্যাকাউন্টগুলোকে কী ভাবে নিরাপদ রাখা যায়, সে চেষ্টাও চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে টুইটার। আত্মপক্ষ সমর্থনে টুইটারের যুক্তি ছিল, ‘হ্যাশট্যাগ’ সংক্রান্ত যে টুইটগুলো সমাজের ক্ষতি করতে পারে, সেগুলো যাতে ‘ট্রেন্ড’ না হয় সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এই কথাতেই নেট জায়ান্ট টুইটারের উপরে বেজায় বিরক্ত কেন্দ্র। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘কোনও সংস্থা নিজস্ব সংবিধান মেনে ব্যবসা করতেই পারে। কিন্তু ভারতের সংসদে পাশ হওয়া আইনকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে না। ভারতীয় সংবিধানকে মেনে চলতে দেশে ব্যবসাকারী সব সংস্থা বাধ্য। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও শ্রদ্ধা করতে হবে।’’ আরও পড়ুন-WB Weather Update: চড়ছে পারদ, বঙ্গে এবার শীত বিদায়ের পালা

অন্যদিকে টুইটার যে দ্বিচারিতা করছে তার প্রমাণ দিতে গতমাসে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলের ঘটনা উল্লেখ করেছে   হিলে হিংসার পরে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার পদক্ষেপকে উদ্ধৃত করে সরকার টুইটারকে জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে এই বৈষম্যমূলক আচরণ গভীর হতাশার।