পাটনা, ৩০ সেপ্টেম্বর: টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত গোটা বিহারের জনজীবন। বৃষ্টি থামার লক্ষণ নেই বললেই চলে। জলমগ্ন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা। এমনই বৃষ্টিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই বৃষ্টিতেই জলবন্দি হয়ে বাড়িতে আটকে পড়েছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীলুমার মোদি। খবর পেয়েই তাঁর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেওয়া জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি যৌথদল। তারপর রাজেন্দ্র নগরের বাড়ি থেকে উপমুখ্যমন্ত্রীকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে। রাজপথ জলে ডুবে তাই নৌকা করেই উদ্ধার করা হয়েছে সুশীল কুমার মোদিকে।
শুধু উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িই নয়, জল ঢুকেছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র নারায়ণ সিং, জিতেন রাম মাঝি বিজেপি নেতা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব প্রতাপ রুডির বাড়িতেও। দুদিনের টানা বৃষ্টিতে রাজধানী পাটনা শহর প্রায় জলের তলায় বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জলমগ্ন হয়ে পড়েছেন। অফিস কাছারি, স্কুল সবতেই জল ঢুকে গিয়েছে। উদ্ধার কার্যের জন্য বিভিন্ন রাস্তায় চলছে নৌকা। বেশিরভাগ রাস্তা জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঘরবন্দি হয়েই বাসিন্দাদের দিন কাটাতে হচ্ছে। নালন্দা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল-সহ শহরের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বন্যার জল ঢুকে পড়েছে। এই প্রথম জলবন্দি পাটনা শহরের রাস্তায় নৌকা চতে দেখলাম, জানালেন রাজেন্দ্র নগর কলোনির কলেজ ছাত্র সংকেত ঝা সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে এমনটাই জানালেন। আরও পড়ুন-মুক্তি পেলে বিদেশে গা-ঢাকা দিতে পারেন চিদম্বরম, জামিনের আর্জি খারিজ দিল্লি আদালতের
#WATCH: Bihar Deputy Chief Minister Sushil Modi who was stranded at his residence in Patna, rescued by National and State Disaster Response Forces personnel. #BiharFlood pic.twitter.com/WwdbAcTWy6
— ANI (@ANI) September 30, 2019
এদিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিহারের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় কেন্দ্রের তরফে সেখানে উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৯টি দল পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দুজনকে উদ্ধার করেছে, চার হাজার ৯৪৫জনকে বাড়ি থেকে সরিয়ে এনেছে ও ৪৫টি গবাদি পশুকে উদ্ধার করেছে। রবিবার পাটনার নিচু এলাকায় অভিযানে নেমে ২৩৫জন বাসিন্দাকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পাঠিয়েছে। গঙ্গা, কোশী, বাগমতি, গণ্ডক, মহানন্দার জল বিপদসীমার উপর থেকে বইছে। যেভাবে নদীর জল ফুঁসছে তাতে যেকোনও মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে আরও বড় বিপর্যয় ঘটাতে পারে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখার জন্য সমস্ত জেলা শাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন।