নতুন দিল্লি, ৩০ সেপ্টেম্বর: জামিন পেলেই দেশ চেড়ে পালাতে পারেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। সরকারি আইনজীবীর এহেন সওয়ালের পর দিল্লি হাইকোর্টে এদিন চিদম্বরমের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। গত ২৫দিন ধরে আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় ফেঁসে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি আছেন এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। সোমবার দিল্লি হাইকোর্টে আইএনএক্স মামলায় তাঁর জামিনের আবেদনের উপরে শুনানি হয়। সেখানে সরকারি কৌঁসুলি তুষার মেহতা (Tushar Mehta) বলেন, জামিন পেলেই চিদম্বরমের দেশ ছেড়ে পালাতনোর সম্ভাবনা প্রবল। এরপরেই জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এদিন এজলাসে তুষার মেহতা বলেন, প্রাক্তন মন্ত্রী জানেন তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে। দীর্ঘদিন বিদেশে কাটানোর মতো যথেষ্ট অর্থও তাঁর আছে।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, ২০০৭ সালে অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন চিদম্বরম আইএনএক্স মিডিয়া (INX Media)নামে একটি সংস্থাকে বেআইনিভাবে বিদেশি বিনিয়োগ পাইয়ে দিয়েছিলেন। এদিন চিদম্বরমের জামিনের আবেদন শোনেন বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত। তুষার মেহতা বলেন, সিবিআইয়ের হাতে চিদম্বরমের বিরুদ্ধে অনেক প্রমাণ আছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, আইএনএক্স মিডিয়ার দুই প্রতিষ্ঠাতা পিটার মুখার্জি ও ইন্দ্রাণী মুখার্জি ২০০৭-০৮ সালে চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। চিদম্বরম তাঁদের বলেছিলেন, আমার ছেলের ব্যবসায় সাহায্য করুন। অন্যদিকে চিদম্বরমের আইনজীবী কপিল সিব্বল গত সপ্তাহেই হাইকোর্টে বলেছেন, তাঁর মক্কেলের সঙ্গে কখনও ইন্দ্রাণীর দেখাই হয়নি। আরও পড়ুন-গুজরাট দাঙ্গায় গণ ধর্ষিতা বিলকিস বানোকে কেন এখন আর্থিক সাহায্য ও চাকরি দেওয়া হয়নি, গুজরাট সরকারকে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের
উল্লেখ্য, ৭৪ বছর বয়সী চিদম্বরমকে ৪০ দিন আগে দিল্লির জোড়বাগ অঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। ১৫ দিন ধরে তিনি থাকেন সিবিআই হেফাজতে। সেখানে গোয়েন্দারা তাঁকে জেরা করেন। পরে তাঁকে তিহাড় জেলে পাঠানো হয়। সেখানে যাওয়ার পর থেকেই নানারকম অনুযোগ আসছিল, তাঁর সঙ্গে নাকি জেলের কর্মীরা দুর্ব্যবহার করেন। অসুস্থ কংগ্রেস নেতাকে দেওয়া বালিশ ও চেয়ার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে ডাক্তারি পরীক্ষারও আবেদন করেছিল কংগ্রেস। তবে আদালত তাতে উচ্চবাচ্চ করেনি। আজকের ঘটনায় ফের চিদম্বরমের (P Chidambaram) জামিন অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল।