Photo Credits: ANI

ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রচারে বিজেপি-র ধারেকাছে কেউ নেই সে কথা সবার জানা। ২০১৪ থেকে নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতায় আসা, সিংহাসনে থাকা, ক্ষমতায় জাঁকিয়ে বসা-সব কিছুর পিছনে বিজেপি-র আইটি সেলের বড় ভূমিকা ছিল, আছে। কোনও ঘটনা বা ইস্যুকে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইউ টিউবের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষ,প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিজেপি-র আইটি সেলের কর্মীদের নেটওয়ার্ক সব সময় তৈরি থাকে। বুথ ভিত্তিক সংগঠনের মত বিজেপি-র অঞ্চল ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারেরও আলাদা টিম কাজ করে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় জমি শক্ত করতে সবার আগে লাগে অর্থ। সেই অর্থ খরচে নয়া রেকর্ড গড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে গুগল, ইউ টিউব, ফেসবুক, টুইটার-এর মত সোশ্যাল মাধ্যম বড় ভূমিকা নেবে। কারণ গতবারের চেয়ে দেশের বহু গুণ বেশী মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। আর তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধে নিজেদের জয় অব্যাহত রাখতে খরচের নয়া রেকর্ড গড়ল নরেন্দ্র মোদীর দল।

দেখুন খবরটি

রিপোর্টে প্রকাশ, সার্চ ইঞ্জিন জায়েন্ট গুগল- ভিডিয়ো প্ল্যাটফর্ম ইউ টিউবে ১০০ কোটি টাকার বেশী বিজ্ঞাপনের পিছনে খরচ করে ফেলেছে বিজেপি। এর আগে ভারতের কোনও রাজনৈতিক দল গুগল বিজ্ঞাপনের পিছনে এত খরচ করেনি। ফেসবুকেও বিজেপির খরচ বেশ ভালই। কংগ্রেস বা দেশের অন্য দলগুলির তুলনায় বিজেপি-র সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের বহর অনেক গুণ বেশী থাকে। মিম পেজ থেকে রাজ্যভিত্তিক পেজ-অরাজনৈতিক নাম দিয়েও ফেসবুক, গুগলে প্রচার চালায় দেশের শাসক দল।

এই খবর সামনে আসার পর বিরোধীরা বিজেপি-কে কটাক্ষ করেছে। গুগলে এই বিপুল পরিমাণ বিজ্ঞাপনের খরচের পিছনে নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারির বড় ভূমিকা আছে বলে কংগ্রেস নেতারা কটাক্ষ করেছেন। তবে বিজেপি সমর্থকদের বক্তব্য, এ কথা কারও অজানা নয় বিজেপি বিশ্বের অন্যতম বড় দল। দুনীর্তিগ্রস্থ দলগুলিকে দেশের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে এই প্রচার খুব দরকার বলে গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য।

এবার গুগলে বিজেপি-র সবচেয়ে যে বেশী স্লোগানটা দেখা যাচ্ছে তা হল, ইস বার ৪০০ পাড়।