মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেখানে যখন পরিস্থিতি ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠেছে তখন কোভিড-১৯ সংক্রমণের স্বল্প ও মাঝারি উপসর্গের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ‘আয়ুষ ৬৪’ (AYUSH 64) আশার আলো দেখিয়েছে। দেশের মর্যাদাপূর্ণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ‘আয়ুষ ৬৪’ যা ভেষজ পদ্ধতিতে সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন আয়ুর্বেদিক সায়েন্সেস (সিসিআরএএস) উদ্ভাবন করেছে তা অত্যন্ত কার্যকর। আয়ুষ মন্ত্রকও কোভিড-১৯-এর স্বল্প ও মাঝারি উপসর্গের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কার্যকর বলে জানিয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, ‘আয়ুষ ৬৪’ নামক ভেষজ উদ্ভাবিত ওষধটি ১৯৮০ সালে ম্যালেরিয়া চিকিৎসার জন্য আবিষ্কার করা হয়। এখন এটি কোভিড-১৯ চিকিৎসার ক্ষেত্রেও কাজে লাগছে। আয়ুষ মন্ত্রক সম্প্রতি বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পর্ষদের সঙ্গে সহযোগিতায় ‘আয়ুষ ৬৪’ ওষুধটির গুণগত মান যাচাই করার জন্য একাধিক কেন্দ্রে ক্লিনিকাল বা চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছে। স্বল্প ও মাঝারি উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন কোভিড রোগিদের ওপর এই পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হয়েছে।
‘আয়ুষ ৬৪’ ওষুধটিতে বিভিন্ন ধরনের ভেষজ উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। অবশ্য ব্যবহারের পূর্বে এই উপাদানগুলির প্রতিটির বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কার্যক্ষমতা যাচাই করে দেখা হয়। আয়ুর্বেদ ও যোগ সংক্রান্ত ন্যাশনাল ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল অনুযায়ী, এই ওষুধটি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পর্ষদের কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় টাস্ক ফোর্স এই ওষুধটি স্বল্প ও মাঝারি উপসর্গ বিশিষ্ট কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারে স্বীকৃতি দিয়েছে। আরও পড়ুন, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা দিতে হোয়াটস অ্যাপ নম্বর চালু করল জাতীয় মহিলা কমিশন
পুণের সেন্টার ফর রিউম্যাটিক ডিজিজেস প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা ডঃ অরবিন্দ চোপড়া, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত আয়ুষ মন্ত্রকের ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি আয়ুষ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ডঃ ভূষণ পটবর্ধন, ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পর্ষদের প্রাক্তন মহানির্দেশক ডঃ ভি এম কাটোচ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও আধিকারিকরা ‘আয়ুষ ৬৪’ ওষুধটির কার্যকারিতার ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, স্বল্প ও মাঝারি উপসর্গ বিশিষ্ট রোগীদের চিকিৎসায় এটি কার্যকর হয়ে উঠতে পারে। উল্লেখ করা যেতে পারে, সমস্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষায় ‘আয়ুষ ৬৪’ ওষুধটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে।