হাসিনা বেগম (Photo Credits: ANI)

আওরঙ্গাবাদ, ২৭ জানুয়ারি: পাকিস্তানের জেলে বন্দিদশা কাটিয়ে ১৮ বছর পরে বাড়ি ফিরলেন ৬৫ বছরের হাসিনা বেগম। ১৮ বছর আগে স্বামী দিলশাদ আহমেদের আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানে যান ওই বৃদ্ধা। সেখানে লাহোরে ঘটনাচক্রে তাঁর পাসপোর্টটি খোয়া যায়। তারপর থেকে লাহোরের জেলেই ছিলেন তিনি। বহু অনুনয় বিনয়, কাতর আর্তি লিখিত তথ্যপ্রমাণ দেখিয়েও মুক্তি মেলেনি। মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গাবাদের বাসিন্দা হাসিনা বেগমকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেয় পুলিশ। আওরঙ্গাবাদ পুলিশের তরফে লাহোর জেলকর্তৃপক্ষের কাছে নথি প্রদান করা হয়। তারপরই তিনি মুক্তি পান। মঙ্গলবার আওরঙ্গাবাদের পরিজন ও পুলিশ ওই বৃদ্ধাকে নিজের দেশে স্বাগত জানান। আরও পড়ুন-Farmers’ Tractor Rally: লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলনকারী দীপ সিধুর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, টুইট করলেন সানি দেওল

ভারতের মাটিতে পা রেখে বৃদ্ধা বলেন, “এতদিন বহু ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। অবশেষে নিজের দেশে ফিরতে পেরে শান্তি পেলাম। আমাকে জোর করে পাকিস্তানের জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। মনে হচ্ছে যেন স্বর্গে পৌঁছে গেছি। আমাকে দেশে ফেরানোর জন্য রিপোর্ট ফাইল করেছিল আওরঙ্গাবাদ পুলিশ। তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ।” হাসিনা বেগমের পরিজন খাজা জইনউদ্দিন চিশতিও আওরঙ্গাবাদ পুলিশকে এই মর্মে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আওরঙ্গাবাদের সিটিচক থানার রাশিদপুরা এলাকায় হাসিনা বেগমের বাড়ি। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের দিলশাদ আহমেদের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ১৮ বছর ধরে প্রায় জোর করেই তাঁকে পাকিস্তানের জেলে আটকে রাখা হয়েছিল। হাসিনা বেগমের কেস আদালতে উঠলে তিনি বিচারপতির কাছে মুক্তি প্রার্থনা করেন। নির্দোষ হয়েও দীর্ঘদিন ধরে জেলেবন্দি রয়েছেন তিনি। এরপরই হাসিনা বেগমকে ফেরাতে পুলিশকে নির্দেশ দেয় আদালত। যোগাযোগ করা হয় আওরঙ্গাবাদ পুলিশের সঙ্গে। সিটিচক থানা পাকিস্তান পুলিশকে নথি পাঠিয়ে জানায় যে আওরঙ্গাবাদের এই এলাকাতে হাসিনা বেগমের নামে বসতবাড়ি রয়েছে। এরপর গত সপ্তাহে হাসিনা বেগমকে মুক্তি দেয় পাকিস্তানের আদালত ও ভারতের হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়।