অসমে বিক্ষোভ (Photo Credits: IANS)

গুয়াহাটি, ১২ ডিসেম্বর: এখনও অশান্ত অসম। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ (Citizenship Amendment Bill, 2019) নিয়ে আগুন জ্বলছে উত্তরপূর্ব (North East) রাজ্যগুলিতে। যার জেরে গতকাল সন্ধে ৭ টা থেকে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। আজ অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল (Sarbananda Sonowal) পরিস্থিতি শান্ত রাখার কথা জানান। অসম সরকার সিদ্ধান্ত নেয় আজও বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট (Internet)। সময়সীমা বাড়িয়ে ৪৮ ঘণ্টা (48 Hours) করে দেওয়া হয়।

PTI-র খবর অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ২ জন গুলির আঘাতে তাদের মৃত বলে জানায় গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল। মেঘালয় এবং শিলং-য়েও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ রাত ১০ টা থেকে মেঘালয় এবং শিলং-য়ের কিছু জায়গায় কার্ফু করা জারি করা হবে। আরও পড়ুন, সকালে অমিত শাহের সমালোচনা, বিকেলে ভারত সফর বাতিল বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সমালোচনা করার পর ভারত সফর বাতিল করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন (Foreign Minister Dr AK Abdul Momen)। ১২-১৪ ডিসেম্বর ভারত সফরের কথা ছিল বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর।

অসমের গুয়াহাটিতে এখনও কার্ফু জারি রয়েছে। এর মধ্যেই জারি রয়েছে বিক্ষোভ। আজ মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিক্ষোভকারীরা। এমনকি বিজেপির হেডকোয়াটার অসম গণপরিষদও আক্রমণ করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশি আক্রমণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে বিক্ষোভকারীরা। বিতর্ক এড়াতে তড়িঘড়ি সরিয়ে দেওয়া হয় গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দীপক কুমারকে (City police chief Deepak Kumar)। তাঁর জায়গায় কমিশনার পদে আনা হয় মুন্না প্রসাদ গুপ্তাকে। এই নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার মুন্না প্রসাদ গুপ্তা (Munna Prasad Gupta) আগে এসপিজি-তে ছিলেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এই তথ্য দিয়েছেন আশুতোষ অগ্নিহোত্রী। অসমের এজিপি আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিলেন মুকেশ আগরওয়াল। তাঁরও পদের বদল হল। তিনি এখন সিআইডি-র এডিজিপি। তাঁর জায়গায় এসেছেন জিপি সিংগুয়াহাটি শিলং রোড-সহ শহরের বেস কয়েকটি জায়গাট বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশকে শূন্যে গুলি চালাতে হয়েছে। এই গুয়াহাটি শিলং রোডকেই যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়ে নিয়ে টায়ার পোড়ানো, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর কোনও কিছুই বাদ রাখেনি বিক্ষোভকারীরা। গতকাল রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হতেই ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে যায়। আজ মুসলিম লিগ এই বিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম করতে মামলাও করে।