Rinku Singh. (Photo Credits: X)

LSG beats KKR by 5 Runs: মঙ্গলবারের ইডেন গার্ডেন্স ভাসল রানের বন্যায়। কলকাতা বনাম লখনৌ ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে রান হল মোট ৪৭৩। লখনৌ সুপার জায়েন্টেসের ২৩৯ রানের জবাবে কলকাতা শেষ অবধি করল ২৩৪ রান। পাঁচটা খেলে তিনটিতে হেরে পয়েন্ট তালিকায় তলিয়ে গেল কলকাতা। চলতি ইডেনে দুটিতে খেলে দুটিতেই হারলেন আজিঙ্কা রাহানেরা। ম্যাচের শেষ বলে ছক্কা মেরে শেষ করলেও রিঙ্কু সিং-কে শেষ অবধি মহাভারতের কর্ণ হয়েই মাঠ ছাড়তে হল। নাইটরা শেষ পর্যন্ত হারল ৫ রানে।

পাঁচটি খেলে তিনটিতে হেরে তলিয়ে গেল কলকাতা

কলকাতাকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে গেল সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দল ( ৬ পয়েন্ট)। এদিন ইডেনে জয়ের নায়ক এলসজি-র ক্যারিবিয়ান তারকা নিকোলাস পুরান। ৩৬ বলে ৮৭ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেললেন পুরান। দারুণ ব্য়াটিং করলেন লখনৌয়ের অজি ওপেনার মিচেল মার্শ (৪৮ বলে ৮১)-ও। আরও পড়ুন-দুরন্ত ইনিংস খেলে দলকে জেতানোর পরেও ১২ লক্ষ টাকা হারালেন রজত পাতিদার, কিন্তু কেন

৫ রানে জয় লখনৌয়ের

কেকেআর-কে ডোবাল লোয়ার মিডল অর্ডার

মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডার না ডোবালে এদিন ইডেনে রেকর্ড রান তাড়া করে জিততে পারত কলকাতা। অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে, ভেঙ্কটেশ আইয়ার জুটি এমন ব্যাট করছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল এই ম্যাচ বের করে নেবে কলকাতা। কিন্তু ২ উইকেটে ১৬২ থেকে ১৪ বলের মধ্যে ৬ উইকেটে ১৭৩ হয়ে গিয়ে ডোবে নাইটরা। আন্দ্রে রাসেল (৪ বলে ৭)-ও একটা ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আউট হয়ে যান। মানে কলকাতা তাদের শেষ পাঁচটা উইকেট হারায় ২৩ রানের মধ্যে। একবারে শেষের দিকে রিঙ্কু সিং ১৫ বলে ৩৮ রানের দারুণ একটা ইনিংস খেললেন বটে, কিন্তু অপর প্রান্তের সাহায্য না পেয়ে দলকে জেতাতে পারলেন না। রাহানে (৩৫ বলে ৬১) দারুণ খেললেন।

ফুলটশ বলে রাহানের আউটটাই টার্নিং পয়েন্ট

খেলার গতির বিরুদ্ধে শার্দুল ঠাকুরের ফুলটশ বলে বলে কেকেআর অধিনায়কের আউটটাই ম্যাচের ধারা বদলে গিল। ভেঙ্কটেশ আইয়ার (২৯ বলে ৪৫) এমন একটা সময় আকাশদীপের বলে আউট হলেন, যেটা কেকেআর-এর রেকর্ড রান তাড়ায় জল ঢেলে দিল।

আজকের হিরো পুরান

পুরান এদিন ৮টি ওভার বাউন্ডারি আর ৭টি বাউন্ডারি মেরে ইডেনের দর্শকদের বিনোদন করলেন। শেষ পর্যন্ত পুরানের স্ট্রাইক রেট দাঁড়ায় আড়াইশোর কাছাকাছি। পুরানের বিস্ফোরণের সঙ্গে মার্শের ৫ ছক্কা আর ৬ ছক্কার ৮১ রানটাও কেমন যেন ফিকে পড়ে গেল। ওপেনিং পার্টনারশিপে দলের ৬২ বলে ৯৯ রান ওঠার পর নেমেছিলেন ব্রায়ান লারার ত্রিনিদাদের ২৯ বছরের বাঁ হাতি ব্যাটার পুরান। প্রথম বল থেকেই বিশ্বংসী ব্যাটিং করে ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন। এরপর আরও ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং করতে শুরু করেন নিকোলাস। ওপেনার আইডেন মার্করাম (৪৭) আউটের পর মিচেল মার্শ ও পুরান নাইটদের বোলিংকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেন।