নতুন দিল্লি, ৯ জানুয়ারি: রবিবার দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jawaharlal Nehru University) হামলার ঘটনায় আহত হন ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষসহ (Aishe Ghosh) অন্তত ৪০ জন পড়ুয়া। বেসরকারি টিভি চ্যানেল ইন্ডিয়া টুডে এখন দাবি করেছে যে তারা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের (WhatsApp messages) স্ক্রিনশট অ্যাক্সেস করেছে, যা ঐশী ঘোষ দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ থানার (Vasant Kunj) স্টেশন হাউজ় অফিসার রীতুরাজ (Rituraj), পুলিশ আধিকারিক সঞ্জীব মণ্ডল (Sanjeev Mandal) এবং স্পেশাল পুলিশ কমিশনার আনন্দ মোহনকে ( Anand Mohan) পাঠিয়েছিলেন। মেসেজে ক্যাম্পাসে প্রবেশকারী মুখোশ পরা 'হামলাকারীদের' সম্পর্কে তাঁদের জানিয়েছিলেন ঐশী। ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে মেসেজগুলি বেলা ৩টে বেজে ৭ মিনিটে পাঠানো হয়েছিল। যদিও মেসেজ দেখার পরও কোনও পুলিশ আধিকারিকই সন্ধে ৭টা ৪৫ অবধি রিপ্লাই দেননি।
মেসেজে ঐশী লিখেছিলেন, "স্যার, আপনার নজরে আনছি যে প্রচুর পড়ুয়া মূর্তির কাছে প্রশাসনিক ব্লকে অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে জড়ো হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য পড়ুয়াদের মারধর করছে। আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি এদের এখান থেকে বের করুন। ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।" আরও পড়ুন: #BoycottChapaak: JNU-তে প্রতিবাদকারী পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতেই টুইটার ট্রেন্ডে দীপিকার 'ছপ্পক' বয়কট
Vasant Kunj SHO Rituraj, Sanjeev Mandal & Spl CP Anand Mohan were informed by @aishe_ghosh at 3 on Jan 5 that masked goons entered #JNU with weapons & requested for additional force but @DelhiPolice sat on it till 7. They could have saved students. Any explanation, Delhi Police? https://t.co/4YaJC5c96W pic.twitter.com/xsnyeGQg1r
— Tanushree Pandey (@TanushreePande) January 8, 2020
মঙ্গলবার, ঐশী ঘোষসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে FIR করেছে দিল্লি পুলিশ। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে, যাতে অভিযোগ করা হয়েছে যে ঐশী ঘোষ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে 'সন্ত্রাস' ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মুখোশ পরা 'রেড গুন্ডা দলের' নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ঐশী। মাথায় আঘাতের পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের অভিযোগ, আরএসএস (RSS)-র ছাত্র সংসদ এবিভিপি-র সদস্যরা ঐশীকে পাথর ও রড দিয়ে আঘাত করেছিল।