Uttarakhand Glacier. (Photo Credits: ANI)

যোশীমঠ, ৮ ফেব্রুয়ারি: রাখে হরি মারে কে! কথাটা যেন একেবারে মিলে গেল উত্তরাখণ্ডের চামোলির তপোবন (Tapovan) টানেলে আটকে পড়া এদের জন্য। বেঁচে থাকার সমস্ত আশা ভরসা যখন শেষ, ঠিক সেই সময়ই আচমকা তপোবন সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া একজনের ফোনে সিগনাল দেখা দেয়। ফোনের সিগনাল ফিরে পেতেই দ্রুত স্থানীয় প্রশাসনে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজ চালিয়ে উদ্ধার করা হয় একাধিক ব্যক্তিকে। উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) হিমবাহ ফেটে ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের জেরে আটকে গিয়েছিলেন তাঁরা তপোবনের সুড়ঙ্গের ভিতরে। আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের জন্য সেরা জায়গা হতে চলেছে বাংলা, দাবি মমতা ব্যানার্জির

তীব্র জলোচ্ছ্বাসের জেরে ধুলিসাৎ হয়েছে তপোবন বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একচি অংশ। ধৌলিগঙ্গা এবং ঋষিগঙ্গার সঙ্গমস্থলে অবস্থিত বাঁধটি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। তপোবন সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়ার পর লাল বাহাদুর নামের এক শ্রমিক জানান, "আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম কেউ আমাদের উদ্দেশে চিৎকার করে বলছে সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে ওঠার আগেই তীব্রবেগে আমাদের দিকে জলের স্রোত ধেয়ে আসে।" লাল বাহাদুর-সহ আরও ১১ জন শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন সুড়ঙ্গের নীচে। তাদেরকে উদ্ধার করে আইটিবিপি জওয়ানেরা।

সূত্রের খবর, মাটির নীচে সুড়ঙ্গের কাজ করার সময়ই ঘটে এই দুর্ঘটনাটি। সেখানেই টানা ৭ ঘণ্টা আটকে ছিলেন তাঁরা। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সকলেই যোশীমঠ আইটিবিপি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ২০২ জন এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন।