নরেন্দ্র মোদি (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৩ ফেব্রুয়ারি: প্রধানমন্ত্রীকে (Prime Minister Narendra Modi) নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপমান জনক পোস্ট করে ডিমোশনের কোপে সংসদের নিরাপত্তা বাহিনীর ডেপুটি ডিরেক্টর। ছিলেন ডেপুটি ডিরেক্টর এপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় হয়ে গেলেন সামান্য নিরাপত্তা কর্মী। আগামী পাঁচ বছর উরুজুল হাসানকে এই পদেই থাকতে হবে। এবং চাইলেও তিনি পদত্যাগ করতে পারবেন না। ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে উরুজুল সাসপেন্ড হয়েছিলেন। তাঁর ডিমোশনের নোটিশ দেওয়া হয়েছে গত ১২ ফেব্রুয়ারি। নোটিশে সই করেছেন রাজ্যসভার ডিরেক্টর কে সুধাকরণ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর, অসম্মানজনক ও বিদ্রুপাত্মক’ মন্তব্য করেছিলেন। সেই অভিযোগে তাঁর ডিমোশন হল।

জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিস কন্ডাক্ট রুল অনুযায়ী উরুজুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, কোনও সরকারি কর্মী এমন কিছু করবেন না যা তাঁর পদমর্যাদার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ নয়। তিনি কোনও রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশ নিতে পারবেন না। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সাহায্যও করতে পারবেন না। যা তাঁর পদমর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। উরুজুলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে তদন্ত কমিটি গঠন হয়। সেই কমিটির রিপোর্ট অনুসারেই শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে।  আরও পড়ুন-Arvind Kejriwal’s Swearing-In Ceremony: শপথ অনুষ্ঠান সিএএ বিরোধী মঞ্চ নয়, তাই মমতাকে আমন্ত্রণে না কেজরিওয়ালের

উল্লেখ্য, সংসদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য যে বিশেষ বাহিনী আছে, তার নাম পার্লামেন্ট সিকিউরিটি সার্ভিস। তার নেতৃত্বে থাকেন একজন আইপিএস অফিসার। উরুজুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিই রিপোর্ট দেয়, তিনি বিধিভঙ্গ করেছেন। এরপর তাঁর ডিমোশনের প্রস্তাবে সায় দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু।রাজ্যসভার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “হাসান এমন কিছু পোস্ট করেছিলেন, যাতে বোঝা যায়, তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত। নির্বাচনে প্রচার করেছেন। সরকারি কর্মী হিসাবে নিজের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেননি।” সেকারণেই তাঁকে পদ খোয়াতে হল।