নতুন দিল্লি, ১৩ ফেব্রুয়ারি: ঝাড়খণ্ডে বিজেপি বিরোধী জোট ক্ষমতা দখল করলে হেমন্ত সোরেনের শপথ অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট বসেছিল। বিরোধী রাজনীতিকদের সেই জমায়েত এবারও আশা করেছিল দিল্লি। তবে সেপথে ভুলেও হাঁটছেন না অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রবিবার রামলীলা ময়দানের শপথ অনুষ্ঠানে যেমন পুরনো মন্ত্রিসভাকে অটুট রাখলেন। একইভাবে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের যে আমন্ত্রণ জানানো হবে না, তাও জানিয়েদিলেন। এদিকে কেজরিওয়ালের শপথে আসার (Arvind Kejriwal’s swearing-in ceremony) জন্য তৈরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। শোনা যাচ্ছে দুএকদিনের মধ্যেই তিনি দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন। শোনা যাচ্ছে দলের জয়কে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে বাঁধতে নারাজ আপ নেতৃত্ব। তাই বিজেপি বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের রামলীলা ময়দানের আমন্ত্রণপত্র মেলেনি।
এদিকে কেজরিওয়ালের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই তালিকায় রয়েছেন ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনও। তাই দুই রাজনৈতিক দলের কর্তাব্যক্তিরা ধরেই নিয়েছিলেন আপ শিবিরের খুশিতে মমতা ও স্ট্যালিন আমন্ত্রিত। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অন্যছবি। দিল্লির বাসিন্দাদের দেওয়া ভোটকে সিএএ বিরোধী ভোটের ভিড়ে মিশিয়ে দিতে নারাজ আপ। তাই এঁদের ডাকা হচ্ছে না। কেজরিওয়ালের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এই মুখ্যমন্ত্রীরা দিল্লিতে আপের জয় সিএএ বিরোধী প্রচারের মুখ করে তুলতে চান, তেমন আভাস মিলতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উন্নয়নে আস্থা রেখেছে দিল্লি। তাই কেজরিওয়ালের জয়জয়কার। এখন যদি শপথ মঞ্চে সিএএ বিরোধী প্রচার প্রাধান্য পায় তাহলে রাজধানীর সংখ্যাগুরু ভোটাররা রুষ্ট হতে পারেন। তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথের অনুষ্ঠানে ভোটারদের ভাবেবেগে ছাপ ফেলতে চান না। আরও পড়ুন-Delhi Police: জামিয়ার ছাত্রীদের হিজাব ছিঁড়ে গোপনাঙ্গে লাথি, দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
জানা গিয়েছে, আপের এই জয়কে দিল্লিবাসীর প্রতি উৎসর্গ করতে চান কেজরিওয়াল। কেননা ধর্মের উসকানি ছেড়ে বাসিন্দারা উন্নয়নকে পাথেয় করেছে। স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মহিলাদের বিনামূল্যে বাস পরিষেবা, বিদ্যুৎ ফ্রি। মহিলা নিরাপত্তা বাসে মার্শাল নিয়োগ। এসবে কোনও রাজনীতি ছিল না। তাই শপথ অনুষ্ঠানও রাজনীতির ময়দান হবে না।