
ট্যাংরায় (Tangra) একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় দিন যত গড়াচ্ছে, ততই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিলাসবহুল বাড়ি, দামী গাড়ি, হামেশাই বিদেশভ্রমণ, এগুলি ব্যবসার টাকায় নয়, বরং একাধিক ব্যাঙ্ক ও ফিনান্স কোম্পানী থেকে কোটি কোটি টাকার ঋণ নিয়ে সেই টাকায় চলত আনন্দ উল্লাস। এরপর যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, ব্যাঙ্কের কর্মীরা হামেশাই বাড়ি এসে ঝামেলা করত, তখন বাধ্য হয়ে মৃত্যুর পথ বেছে নিল দে পরিবারের ৬ সদস্য। বাড়ির দুই গৃহবধূ ও এক নাবালিকার মৃত্যুু হলেও এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন দুই ব্যক্তি এবং এক নাবালক।
বাবা চলে যাওয়ার পর শুরু হয় উশৃঙ্খল জীবনযাপন
জানা যাচ্ছে, প্রণয় ও প্রসূণ দে-এর বাবা জীবিত থাকাকালীন তাঁদের চামড়ার ব্যবসা ফুলেফেঁপে ওঠে। কিন্তু বাবার ছত্রছায়ায় কখনও বিলাসবহুল জীবনযাপন করেনি দে পরিবার। এরপর বাবা চলে যাওয়ার পর থেকে শুরু হয় উশৃঙ্খল জীবনযাপন। এমনকী বছরখানেক ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ব্যবসায় মন্দা দেখা দিচ্ছিল।
ঋণের টাকায় গাড়ি কিনেছিল দে পরিবার
গতবছর পুজো থেকেই ব্যবসায় বড়সড় ক্ষতি হয়। যার ফলে ব্যাঙ্ক থেকে ১৫-২০ কোটি টাকা ঋণ নেয় দে পরিবারর দুই ভাই। সেই টাকা ব্যবসায় লাগানোর বদলে দুই ভাই তাঁদের স্ত্রী-দের দুটি করে ফরচুনার গাড়ি উপহার দেয়। এছাড়া বিদেশভ্রমণ তো লেগেই থাকত। এরপর ধীরে ধীরে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় দে পরিবারের। তারপরেই এই ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা।