গণবিক্ষোভে জেএনইউ (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৩ ফেব্রুয়ারি: ১০ ফেব্রুয়ারি সিএএ ও এনআসি-র বিরুদ্ধে যখন সংসদ অভিযানে যায় জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তখন পথেই তাঁদের আটকে বেধড়ক মারধর ও অত্যাচার করে পুলিশ। ত্রিস্তরীয় বলয়ে ঘিরে ফেলা হয় পড়ুয়াদের। ছাত্রীদের গোপানাঙ্গ লক্ষ্য করে চলে বুটের লাথি, হাতে থাকা রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বুকে ও পেটে। এক ছাত্রীর হিজাবও ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দিল্লি পুলিশের (Delhi police) বিরুদ্ধে। অভিযোগ হিজাব ছেঁড়ার সময় এক পুলিশকর্মী বলতে থাকে ওই ছাত্রীকে আলাদা করে কোণায় নিয়ে আসুন, সংবিধান কি তারপর বোঝাবো। এক পড়ুয়ার পেটে লাথি মেরে দাড়ি ধরে অমানুষিক টানাটানির পর তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দিল্লি পুলিশ। এদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন পড়ুয়ারা।

সেদিন এহেন অত্যাচারে গুরুতর আহত হয়ে জামিয়া নগরের দুটি হাসপাতালে ভর্তি হন অসংখ্য পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে আইসিইউ-তে। ৫০ জন পেট, পাকস্থলী ও বুকে আঘাত নিয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন ছাত্রীর গোপনাঙ্গে গুরুতর আঘাত রয়েছে। এককথায় সোমবার পড়ুয়াদের সংসদ অভিযান আটকাতে চরম নৃশংসতার পথ বেছে নিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। চিকিৎসাধীন এক ছাত্রীর কথায়, “আমার গোপনাঙ্গে লাথি মারে পুলিশ। এক মহিলা কর্মী এসে বোরখা খুলে নেন, তার পর গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে লাঠি চালান। ভিড়ের মধ্যে আমাদের এমন ভাবে চেপে ধরা হয়েছিল যাতে আমরা নড়াচড়া না করতে পারি। দমবন্ধ হয়ে আসছিল। ওই অবস্থাতেই আমাদের মারধর করা হচ্ছিল। ক্যামেরায় যাতে না ধরা পড়ে তার জন্য কোমরের নিচের অংশকে নিশানা করা হয়েছিল।” আরও পড়ুন-Arvind Kejriwal To Retain Old Cabinet: কোনও নতুন মুখ নয়, মন্ত্রিসভা যেমন ছিল তেমনই রাখতে চান অরবিন্দ কেজরিওয়াল

পড়ুয়াদের গোপনাঙ্গে ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এমনটা জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। দিন দশেক আগে এই দিল্লির বুকেই 'ইয়ে লো আজাদি' বলে জামিয়ার পড়ুয়ার উপর গুলি চালিয়েছিল এক নাবালক। সে বার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল নীরব দর্শকের ভূমিকা নেওয়ার। এবার পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠল।