দিল্লি, ২৩ জুন, ২০১৯: ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিপন্ন। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাতে আক্রান্ত হন মুসলিম এবং সংখ্যালঘুরা। আমেরিকার (America) স্টেট ডিপার্টমেন্ট এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ২০১৮ সালের প্রেক্ষিতে এই ধর্মীয় স্বাধীনতার রিপোর্ট পেশ করেছে তারা। যেটি প্রকাশের পর ভারত অত্যন্ত অসন্তুষ্ট বলে পাল্টা কড়া বার্তা পাঠিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিেদশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার (Ravish Kumar) জানিয়েছেন, ‘আমেরিকার প্রকাশিত এই রিপোর্ট একেবারেই অর্থহীন ও মিথ্যে। এর মধ্যে কোনও সত্যতা নেই। পুরোটাই অনুমান নির্ভর।
তিনি জানিয়েছেন, ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। ভারতের সংবিধানেই রয়েছে সকলের মৌলিক অধিকার সমান। এর মধ্যে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘুর কোনও পৃথক অস্তিত্ব নেই। ভারত গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে সকলের ধর্মীয় স্বাধীনতা আছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার নির্বাচিত হয়। যাতে অংস নেন সব ধর্মের নাগরিক। দেশ সহনশীলতার নীতিতে বিশ্বাসী।’ আরও পড়ুন, পদত্যাগে অনড় রাহুল গান্ধী, পদত্যাগে অনড় রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতির পদের দৌড়ে এগিয়ে অশোক গেহলট
এনডিএ–টু সরকার আমেরিকার এই রিপোর্টকে পক্ষপাত দুষ্ট বলে বিরোধিতা করেছে। বিজেপি নেতা অনিল বালুনি অভিযোগ করেছেন, ভারতের ভাবমূর্তিতে আঘাত হানতেই আমেরিকা এই রিপোর্ট পেশ করেছে। ভারত সরকারের ধর্মনিরপেক্ষ উন্নয়ন প্রকল্পগুলি খতিয়ে না দেখেই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রতি বছরই বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করে। যার নাম ‘রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’।