
মুম্বই, ২৫ ফেব্রুয়ারিঃ নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের (New India Co-operative Bank) উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (RBI)। মুম্বই ভিত্তিক এই ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার এবং অ্যাকাউন্টস হেড ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ১২২ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ। ইতমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন ব্যাঙ্কের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার হিতেশ মেহতা। এরই মাঝে জানা যাচ্ছে, নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের অন্যতম গ্রাহক ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টা (Preity Zinta)। ব্যাঙ্ক থেকে অভিনেত্রীর নেওয়া ১৮ কোটি টাকার লোন মুকুব করা হয়েছে। আর ঋণ মুকুবের সেই নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি সরকার। কেন্দ্র এবং নায়িকার বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। তবে হাত শিবিরের তোলা অভিযোগ একেবারেই নস্যাৎ করলেন প্রীতি। বললেন এই দাবি 'পুরোপুরি মিথ্যা'।
সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে শাহরুখ খানের নায়িকা স্পষ্ট জানালেন, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া সমস্ত টাকা তিনি ফেরত দিয়েছেন। সোমবার কেরল কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডেল থেকে প্রীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়, নায়িকা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি বিজেপিকে চালনা করতে দিয়েছিলেন এবং বদলে বিজেপি সরকার নিউ ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া তাঁর ১৮ কোটি টাকা ঋণ মকুব করার নির্দেশ দিয়েছে।
কংগ্রেসের সেই অভিযোগের পালটা জবাবে প্রীতি বলেন, 'আমি আমার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি নিজেই পরিচালনা করি। এই ধরণের ভুয়ো খবর প্রচার করার জন্যে আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিৎ। কেউ আমার জন্য কোনও ঋণ মকুব করেনি। আমি সত্যি অবাক হচ্ছি যে, একটি রাজনৈতিক দল বা তাদের প্রতিনিধি আমার নাম এবং ছবি ব্যবহার করে ভুয়া খবর প্রচার করছে'।
কংগ্রেসের অভিযোগ নস্যাৎ করে পালটা জবাব প্রীতিরঃ
No I operate my social media accounts my self and shame on you for promoting FAKE NEWS ! No one wrote off anything or any loan for me. I’m shocked that a political party or their representative is promoting fake news & indulging in vile gossip & click baits using my name &… https://t.co/cdnEvqnkYx
— Preity G Zinta (@realpreityzinta) February 25, 2025
নায়িকা দুঃখ প্রকাশ করে এও জানান, তাঁর দীর্ঘ চলচ্চিত্র কেরিয়ারে তাঁকে ঘিরে বহু ভুয়ো সংবাদ ছাপা হয়েছে। কিন্তু সেই সমস্ত ভুল তুথ্য সংশোধন করে তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ভদ্রতা কেউ দেখায়নি। তিনি আদালতে গিয়েছেন। মামলা লড়েছেন। কষ্ট করে উপার্জিত অর্থ বছরের পর বছর ধরে ব্যয় করেছেন সত্যি প্রতিষ্ঠার জন্যে। তাই প্রীতির অনুরোধ, তাঁকে ঘিরে কিছু মন্তব্য করার আগে একবার তাঁকে ফোন করে সত্য মিথ্যা যাচাই যেন করে নেওয়া হয়।