দুবাই, ১৯ জানুয়ারি: ইয়েমেনের (Yemen) সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে জঙ্গি হামলায় প্রাণ গেল কমপক্ষে ৬০ জনের। জখম হয়েছেন আরও অনেকে। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে ইয়েমেনের মারিব শহরে। জানা গিয়েছে, ইয়েমেনের মারিব শহরে একটি সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্প রয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধেতে সেখানে মিসাইল (Missile Attack) ছোঁড়ে জঙ্গিরা। ড্রোনের সাহায্যে ওই মিসাইল ফেলা হয় সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে। যে ঘটনায় ৬০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জখম হয়েছেন আরও একাধিক জন।
এই জঙ্গি হামলার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পাশাপাশি জখমদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ইয়েমেন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করে। তবে সবাই এই ঘটনার পিছনে ইরানের (Iran) মদতপুষ্ট হাউতি জঙ্গিদের হাত আছে বলে অভিযোগ করছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তা শেষ হলে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের মার্চ মাসে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মনসুর হাদিরকে ক্ষমতায় ফেরানোর জন্য অভিযান শুরু করে। তারপর থেকে সৌদির (Saudi Arabia) সঙ্গে ইয়েমেনের সম্পর্কটা বিভ্রান্তিকর। একদিকে সৌদি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হাদির সরকারকে সমর্থন করছে, অন্যদিকে দক্ষিণে তাঁর বিরোধী জঙ্গিদের সাহায্য করছে। এভাবেই মূল ভূখণ্ড থেকে দক্ষিণাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার পথ প্রশস্ত করছে। এর ফলে ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও দক্ষিণের বন্দর শহর এডেনে আধিপত্য বিস্তার করেছে হাউতি জঙ্গিরা। আর মাঝে মধ্যেই ড্রোনের সাহায্যে ইয়েমেন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে মিসাইল হামলা চালাচ্ছে।আরও পড়ুন: Khagendra Thapa Died: নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বিশ্বের ক্ষুদ্রতম পুরুষ খগেন্দ্র থাপা মাগার
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কথায়, ইরান ও সৌদি আরবের লড়াইয়ের মাঝে পড়ে ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছে ইয়েমেন। হাউতি জঙ্গিদের (Houthi Rebels) পিছনে রয়েছে ইরান। আর প্রেসিডেন্ট হাদির পক্ষে রয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট (Alliance)।