কাঠমান্ডু, ১৮ জানুয়ারি: অমৃতলোকের পথে পাড়ি দিলেন বিশ্বের ক্ষুদ্রতম পুরুষ (World's Shortest Man)। দিনকয়েক ধরে নিউমোনিয়ায় (Pneumonia) আক্রান্ত হয়ে নেপালের এক হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। সেখানেই গতকাল শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন খগেন্দ্র থাপা মাগার (Khagendra Thapa Magar) বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ২৭ বছর। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস (Ginece Book Of World Records) করা থাপার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিচিত থেকে স্থানীয়রা।
খগেন্দ্র থাপা মাগার নামে নেপালের ওই ব্যক্তির দৈহিক উচ্চতা ২ ফুট ২.৪১ ইঞ্চি অর্থাত্ ৬৭.০৮ সেন্টিমিটার। মারা যাওয়ার সময় পরিবারে রেখে গেলেন মা-বাবাকে। নেপালের (Nepal) পোখরাতেই থাকতেন খগেন্দ্র। ১৮ বছরের জন্মদিনের পরই নিজের বিশিষ্টতার জন্য ২০১০ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস করেন তিনি। বিশ্বের ক্ষুদ্রতম পুরুষের বাবা রূপ বাহাদুর বলেন, “জন্মের সময়েও অত্যন্ত ছোট ছিল খগেন্দ্র। ও এতটাই ছোট ছিল যে হাতের তালুর মধ্যেই ধরে যেত। আয়তনে অত্যন্ত ছোট হওয়ায় ওকে স্নান করাতে খুবই সমস্যা হত।” এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁর ভাই মহেশ থাপা মাগার বলেন, “বেশিরভাগ সময়েই নিউমোনিয়ায় ভুগতেন খগেন্দ্র। সে কারণে বারবারই হাসপাতালে ভরতি করতে হয় তাঁকে। তবে এবার চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে গিয়েছে। তাই মৃত্যু হয় খগেন্দ্রর।” গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এডিটর-ইন-চিফ ক্রেইগ গ্লেনডেও তাঁর মৃত্যু মানতে পারছেন না। এই খবর পেয়ে শোকপ্রকাশ করেন তিনিও। আরও পড়ুন: US Charges 5 Pakistani Men: পারমানবিক অস্ত্র চুরি করতে গিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ধরা পড়ল পাকিস্তানি চোরাচালানকারীরা
Sad to get confirmation of the passing of Khagendra Thapa Magar, @GWR's shortest living man (mobile), who was hospitalised yesterday and succumbed to pneumonia today at the age of just 27. He was such a joyous character - he'll be much missed. RIP. pic.twitter.com/Wn80ea3r1M
— Craig Glenday (@craigglenday) January 17, 2020
বিশ্বের ক্ষুদ্রতম পুরুষ হিসাবে খগেন্দ্র একাধিক দেশ ভ্রমণ (Tour) করেন। ইউরোপ (Europe) এবং আমেরিকার (America) বেশ কয়েকটি চ্যানেলেও তাঁকে সাক্ষাৎকার দিতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ভিডিওতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ওই ভিডিওতে খগেন্দ্রকে তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে গিটার বাজাতে, বাইকে চড়তে এমনকী পারিবারিক দোকানে বসে কাজও করতে দেখা গিয়েছে। নেপালের পর্যটনের প্রচারের মুখও ছিলেন খগেন্দ্র। তবে খুব স্বল্প সময়েই নিভে গেল তাঁর জীবনপ্রদীপ।