File Image

একেবারে পিলে চমকে যাওয়া দশা। লন্ডনে তখন চলছে ম্যারাথন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলেছে প্রিমিয়র লিগ ফুটবলের ম্যাচ, চলছিল বিশ্ব স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপ, ম্যানচেস্টারে শপিং ফেস্টিভ্যাল, কেন্টে সমাবেশ। সব জায়গায় একসঙ্গে বেজে উঠল সবার ফোন। এমার্জেন্সির সময় যেমন আওয়াজ হলিউড সিনেমায় ব্যবহার হয়, অনেকটা তেমন শব্দ একসঙ্গে বেজে উঠল ইউকে-র লক্ষ লক্ষ বাসিন্দাদের ফোনে। খেলার মাঠ থেকে শপিং মল, দোকান-বাজার। সর্বত্র সবার ফোনে বাজল 'এমার্জেন্সি অ্যালার্ট'। এই নিয়ে ইংল্যান্ড জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল শুরু হয়। অনেকেই মজা করে বলেন, রবিবারের দুপুরটা শান্তিতে ঘুমোতে না দিয়ে, মজা করছে সরকার।

আসলে সে দেশের প্রশাসন এমন একটা এর্মাজেন্সি অ্যালার্ট শুরু করতে চলেছে, যা বন্যা, ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে অগ্নিকাণ্ড, বড় অশান্তির সময় ফোনে এমার্জেন্সি অ্যালার্ট দিয়ে মানুষকে সতর্ক করে দেবে। এই এমার্জেন্সি অ্যালার্ট ঠিকঠাক সব ফোনে কাজ করছে কি না তা দেখতে আজ, রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর ঠিক ৩টেয় গোটা ব্রিটেন জুড়ে এমার্জেন্সি অ্যালার্ট পরিষেবার পরীক্ষা করা হয়। আরও পড়ুন-ভারত তথা অন্যান্য দেশবাসীদের সুদান থেকে উদ্ধার আরবের

দেখুন ভিডিয়ো

এর লক্ষ্য হল, বিপদের সময় মানুষকে সেই ঘটনা নিয়ে সজাগ করা। তাতে প্রাণহানী রোখা সম্ভব হবে। মোবাইল ফোন সাইলেন্টে রাখা থাকলেও এমার্জেন্সি অ্যালার্ট চালু থাকবে। এমার্জেন্সি অ্যালার্ট পরীক্ষার সময় যাতে রাস্তায় গাড়ি চালানো কোনও চালক ফোন না ধরেন তার নির্দেশ ছিল। একে অপরকে যাতে সেই সময় ফোন না করেন তেমনও বলা হয়েছিল। সিনেমা হলগুলিতে ফোন বন্ধ করে তবে ঢোকার অনুরোধ করা হয়েছিল। তা না হলে সবার ফোন একসঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বেজে সিনেমা দেখায় ব্যাঘাত ঘটত। যারা এমার্জেন্সি অ্যালার্ট ফোনে পেলেন না, তাদের টেলি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে ফোনের সেটিং বা বা টেকনিক্যাল জিনিসগুবলি ঠিক করে নিতে বলা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, এবং জাপানে এইরকম জাতীয় আপাতকালীন পদ্ধতি বা ন্যাশানল এমার্জেন্সি সিস্টেম চালু আছে।