তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, আক্কিউ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম বিদ্যুৎ ইউনিটে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহের মাধ্যমে তুরস্ক পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর ক্লাবে যোগ দিয়েছে। ভিডিও লিংকের মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেন, 'আমাদের কারখানায় সমুদ্র ও আকাশপথে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহের মাধ্যমে আক্কিউ এখন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে মর্যাদা অর্জন করেছে। ৬০ বছর বিলম্বের পরও আমাদের দেশ পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর তালিকায় উঠে এসেছে।' তুরস্কের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র 'আক্কিউ' নির্মাণ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কোম্পানি রোসাটম। দেশটির দক্ষিণ ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের মের্সিন প্রদেশে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এরদোগান বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে 'সবচেয়ে বড় যৌথ বিনিয়োগ'। Operation Kaveri: সুদান থেকে ৩২৬ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করে জেড্ডার পথে ভারতীয় নৌসেনা
এই প্রসঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, 'আক্কিউ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দুই দেশের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এটি একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প এবং এটি পারস্পরিক অর্থনৈতিক সুবিধা এবং অবশ্যই আমাদের দুই রাষ্ট্রের মধ্যে বহুমুখী অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।' এরদোগান 'ব্যক্তিগতভাবে রুশ-তুর্কি সম্পর্ক সম্প্রসারণে বিশেষ মনোযোগী' বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০১০ সালে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি রোসাটমকে আক্কিউ প্ল্যান্ট নির্মাণ ও পরিচালনা করতে দেওয়ার জন্য দুই দেশ একটি চুক্তিতে উপনীত হয়। আক্কিউ প্ল্যান্টটি চারটি পারমাণবিক চুল্লি ইউনিটের সাথে ডিজাইন করা হয়েছে, যার প্রতিটির ক্ষমতা ১,২০০ মেগাওয়াটবিদ্যুৎ উৎপাদন। চুক্তির আওতায়, আক্কিউ প্ল্যান্টটি ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রাশিয়ান মূলধন দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।