মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে (Medinipur Medical College and Hospital) প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এই ঘটনায় ওই বিভাগের একাধিক জুনিয়র চিকিৎসক ও সিনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগের আঙুল তুলেছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এই ঘটনার তদন্ত করছে। আর সেই তদন্তের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে জানা যাচ্ছে, স্যালাইনে বিষক্রিয়ার কারণে নয়, হিউম্যান এররের কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আর সেই কারণে ১২ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে কোতয়ালি থানায়।
চিকিৎসকদের গাফিলতি
প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, ওইদিন অপারেশন থিয়েটারে আরএমও বা সিনিয়র কোনও চিকিৎসক ছিল না। জুনিয়র চিকিৎসকরা অ্যানাস্থেসিয়া ও ডেলিভারি দুটোই করেছে। আর এই গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছিল ওই প্রসূতির। এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন একাধিক মহিলা। ইতিমধ্যেই ওই চিকিৎসকদের সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
আসরে কুণাল
অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর মতে, "চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ইউনিটে যে সমস্ত চিকিৎসক ডেলিভারি করেছেন তাঁরা সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ওই বিভাগে তো আরও অনেক প্রসূতি রয়েছেন, তাঁরা তো স্যালাইনের কারণে অসুস্থ হননি"।