দিল্লি, ১৭ জানুয়ারি: পণবন্দিদের মুক্ত করাই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) প্রধান লক্ষ্য। হামাসের (Hamas) কবজায় যে ইজরায়েলি পণবন্দিরা রয়েছেন, তাঁদের যাতে শিগগিরই ফিরিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের তরফে। শুক্রবার নেতানিয়াহু সরকারের তরফে জানানো হয়, পণবন্দিদের মুক্ত করার জন্য হামাসের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাই এবার ইজরায়েলি পণবন্দিদের মুক্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। ইজরায়েল, হামাসের দীর্ঘ ১৫ মাসের যুদ্ধের মাঝে পণবন্দিদের মুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে কথা হলেও, শেষ পর্যন্ত তা পিছিয়ে যায়। তবে এবার পণবন্দিদের মুক্ত করার সমস্ত পদ্ধতি এগিয়ে গিয়েছে বলে জানান নেতানিয়াহু।
সম্প্রতি আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী হামাস এবং ইজরায়েলের যুদ্ধ বিরতি চুক্তির কথা ঘোষণা করেন। যার জেরে হামাসের হাতে যে ইজরায়েলি (Israel) পণবন্দিরা রয়েছেন, তাঁদের মুক্তির পথ সুগম হয় কিছুটা। এরপরই নেতানিয়াহু যুদ্ধ বিরতি চুক্তি এবং পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেন।
ইতিমধ্যেই হামাসের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কতজন পণবন্দিকে মুক্ত করা হবে, তা নিয়ে হামাসের সঙ্গে দর কষাকষি চলছে বলে নেতানিয়াহু জানান। যুদ্ধ বিরতিতে উপনীত হওয়ার পর ইজরায়েলি পণবন্দিরা কবে মুক্তি পান হামাসের কবল থেকে, সেদিকে তাকিয়ে প্রায় গোটা বিশ্ব।
প্রসঙ্গত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয়বার বসার আগেই হামাসের বিরুদ্ধে সুর চড়ান ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি আমেরিকার মসনদে বসছেন তিনি। তার আগেই যাতে হামাস ইজরায়ালি পণবন্দিদের মুক্ত করে, সে বিষয়ে সুর চড়ান ট্রাম্প। হামাস ইজরায়েলি পণবন্দিদের মুক্ত না করলে, তার ফল ভুগতে হবে বলে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেন ট্রাম্প।