লন্ডন, ৮ জুন: মার্কিন মুলুকে আফ্রিকান আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড খুনের ঘটনায় এবার বিক্ষোভের আঁচ পড়ল ইংল্যান্ডে। সোমবার লন্ডনে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে অন্তত হাজার খানেক মানুষ। পার্লামেন্ট স্কয়্যারে থাকা চার্চিলের মূর্তির (Winston Churchill) নিচে লিখে দেওয়া হয় বর্ণবাদীর তকমা। ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটারস বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলও ছিলেন বর্ণ বিদ্বেষী। বিক্ষোভকারীরা চার্চিলের মূর্তি ঘেরাও করে একথাই বলতে থাকে। শনিবার বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভে ঠিক একইভাবেই রোষের মুখে পড়ে চার্চিলের মূর্তি। বিক্ষোভকারীরা মূর্তিতে সবুজ রঙ স্প্রে করে দেয়।
লন্ডনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের বাইরেও ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। তালিকায় রয়েছে ব্রিস্টলও। এদিন বিকেলে ১৭০ শতকর দাস ব্যবসায়ী এডওয়ার্ড কলস্টনের মূর্তিটি দড়ি ধরে নামিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনাকে অসম্মানজনক আখ্যা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হোম সেক্রেটারি প্রীতি প্যাটেল। ইতিমধ্যেই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এদিকে চার্চিলের মূর্তিতে আপত্তিকর লেখার অভিযোগে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন-Journalist Mehr Tarar Tests Positive for COVID-19: করোনা আক্রান্ত পাকিস্তানের সুপরিচিত সাংবাদিক মেহের তারার
They've defaced Churchill! pic.twitter.com/rkINK4oac6
— Jack Dawkins (@DawkinsReturns) June 7, 2020
এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন মুলুকে জর্জ ফ্লয়েড হ্ত্যার প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে গান্ধী মূর্তিকে অবমাননা করা হয়। মূর্তিতে রং স্প্রে গ্রাফিতি করা হয়। এই ঘটনার জন্য দিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ক্ষমাও চেয়েছেন। অশান্তি এড়াতে ওয়াশিংটন ডিসির গান্ধীমূর্তিকে কাপড়ে মুড়ে দিয়েছে প্রশাসন। এবার ইংল্যান্ডেও সেই ছোঁয়া লাগল।