ইউনাইটেড নেশন, ২৬ ফেব্রুয়ারি: ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান (Russia-Ukraine Conflict) ইস্যুতে একসারিতে চিন (China) ও ভারত (India)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UN Security Council) রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করে আনা প্রস্তাবে (Resolution) দুই দেশই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থেকেছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও (UAE) ভোটদানে অনুপস্থিত ছিল। প্রায় ৬০টি দেশের সমর্থনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আলবেনিয়ার আনা প্রস্তাবিত প্রস্তাবটি পক্ষে ১৫ সদস্যের কাউন্টিলে ১১টি ভোট পড়েছে। প্রস্তাবের সমর্থনে পোল্যান্ড, ইতালি, জার্মানি, এস্টোনিয়া, লাক্সেমবার্গ, নিউজিল্যান্ডের মতো ১১টি দেশ ভোটদান করে। নিন্দা প্রস্তাব কাউন্সিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও রাশিয়ার ভেটোতে সেটি বাতিল হয়ে গিয়েছে।
প্রস্তাবে বলা ছিল যে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের কাজ করেছে। যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার লঙ্ঘন। রাশিয়াকে অবিলম্বে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করার এবং ইউক্রেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানা থেকে তার সামরিক বাহিনীকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়। আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: আলোচনায় বসার বার্তা জেলেনস্কির, মিনস্কে প্রতিনিধি দল পাঠাতে প্রস্তুত ভ্লাদমির পুতিন
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেন, "এটা দুঃখের বিষয় যে কূটনীতির পথ ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের অবশ্যই এতে ফিরে যেতে হবে। আলোচনায় পার্থক্য ও বিরোধ নিষ্পত্তির একমাত্র উত্তর, যদিও এই মুহূর্তে তা ভয়ঙ্কর হতে পারে।" রাশিয়ার নাম না করে তিরুমূর্তি অবশ্য বলেছেন, "ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর কারণে ভারত গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।" তবে একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে তিনি যোগ করেছেন, "আমরা আহ্বান জানাই যে হিংসা এবং শত্রুতা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা করা হবে।"
It is a matter of regret that the path of diplomacy was given up. We must return to it. For all these reasons, India has chosen to abstain on this resolution: India's Permanent Rep to UN, TS Tirumurti at UNSC meeting on Ukraine
— ANI (@ANI) February 25, 2022
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনিও রাশিয়াকে সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানান। গতকাল মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে এই নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। যদিও ভারত চাপের কাছে হার স্বীকার না করে ভোটদানে বিরত থাকে। ভারতের এই সিদ্ধান্ত মার্কিন সরকারের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে।
রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন স্থায়ী প্রতিনিধি লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড ভোটদানকে একটি লিটমাস পরীক্ষা করে বর্ণনা করেছিলেন। ভোটের আগে তিনি বলেছিলেন, "মাঝামাঝি অবস্থান নেওয়ার কোনও জায়গা নেই।" ভোটের পরে তিনি বলেন, "এই ভোটটি দেখিয়েছে যে কোনও দেশগুলি সত্যিই রাষ্ট্রসংঘের মূল নীতিগুলিকে সমর্থন করতে বিশ্বাস করে এবং কারা কারা তাদের সুবিধাজনক জায়গায় থাকতে চায়। এই ভোটটি দেখিয়েছে যে নিরাপত্তা পরিষদের কোন কোন সদস্যরা রাষ্ট্রসংঘের সনদকে সমর্থন করে এবং কারা কারা করে না।"