‘Parrot Fever’ In Europe: 'প্যারট ফিভার' প্রাণ নিল ৫ জনের, ইউরোপের একাধিক দেশে সংক্রমণ, সতর্কতা WHO-এর
Parrot (Photo Credit: Pexels)

ইউরোপে ছড়াচ্ছে প্যারট ফিভার (Parrot Fever) বা সিটিকোসিস (Psittacosis)। যা ইতিমধ্যেই ইউরোপের (Europe)  বেশ কয়েকটি দেশে সংক্রমণ ঘটিয়ে প্রাণঘাতক হয়েছে। ইউরোপের একাধিক দেশে এই প্যারট ফিভার বেশ কয়েকজনের প্রাণ নিয়েছে বলে খবর। ২০২৩ সালে প্রথম প্যারট ফিভারের কথা প্রকাশ্যে আসে। ২০২৩ সালে প্যারট ফিভারের সন্ধান মিললেও, এই সালে তা বেশ কয়েকজনের প্রাণ নিয়েছে। যার জেরে প্যারট ফিভার বা সিটিকোসিস নিয়ে সতর্কতা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি, সুইডেন এবং নেদারল্যান্ডসের মত ইউরোপের দেশগুলিতে সিটিকোসিসে আক্রান্তের খবর মিলছে। যে কোনও ধরনের পাখির সংস্পর্শ থেকেই প্যারট ফিভার মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে খবর। ২০২৩ সালের নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসে সিটিকোসিসের খবর প্রকাশ্যে এলেও, তা মানুষের প্রাণঘাতী রোগে পরিণত হয় ২০২৪ সালে।

সিটিকোসিস এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা পাখিদের শরীরে দেখা যায়। মানুষ যদি সংক্রমিত পাখির সংস্পর্শে আসে, তাহলে সিটিকোসিসে আক্রান্ত হয়। কিংবা বাড়িতে পোষা পাখি, বাগানে এসে বসা পাখি, পোলট্রি কিংবা পশু চিকিৎসকরা আক্রান্ত হলে, তা থেকে অন্যদের শরীরে ছড়ায় প্যারট ফিভার।

প্যারট ফিভারে আক্রান্ত হলে জ্বর, কাঁপুনি, মাথা যন্ত্রণা, মাংসপেশীতে টান, শুকনো কাশির মত একাধিক উপসর্গ চোখে পড়ে। ৫ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে বসবাস করে এবং সংক্রমিত করে। প্যারট ফিভার থেকে বাঁচতে অ্যান্টিবায়োটিক (কড়া  মাত্রার) প্রয়োগের প্রয়োজন। প্যারট ফিভারে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় বেশিদিন থাকলে, তা নিউমোনিয়ায় পরিণত হতে পারে এবং প্রাণ নিতে পারে বলে আশঙ্কা।

প্যারট ফিভার মানুষের থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার সনম্ভাবনা খুব কম। তাও সংক্রমণ যাতে বৃদ্ধি না পায়, তার জন্য সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।