Panjshir Valley (Photo Credit: Twitter)

কাবুল ১৭ সেপ্টেম্বর: পঞ্জশির এখন ফাঁকা৷ বৃদ্ধ এবং অসমর্থ মানুষ ছাড়া অন্য কেউ আর সেখানে থাকেন না৷ যে পঞ্জশিরের (Panjshir) প্রত্যেক পাহাড়ের খাঁজে কিংবা রাস্তায় দেখা মিলত রেজিস্টেন্স ফোর্সের, তা এখন জনমানবহীন৷ কেউ নেই সেখানে৷ রাস্তার বিভিন্ন দিকে তাকালে এখন দেখা মিলবে সশস্ত্র তালিব যেদ্ধাদের৷ পঞ্জশির ঘিরে যখন রেজিস্টেন্স ফোর্সের পাহারা চলত, সে সময় সেখানকার মানুষ নিরাপদ মনে করতেন নিজেদেরকে৷ কিন্তু তালিবান (Taliban) পঞ্জশির দখলের পর সেখান থেকে সাধারণ মানুষ পালাতে শুরু করেন৷ প্রাণভয়ে, আতঙ্কে সেখান থেকে পালাতে শুরু করেন স্থানীয়রা৷

পঞ্জশিরের খেঞ্জ প্রদেশে সম্প্রতি দেখা মেলে আবদুল গফুরের৷ একা গফুর বলেন, খেঞ্জ প্রদেশে কমপক্ষে ১০০ পরিবারের বসবাস ছিল কিন্তু কেউ নেই এখন৷ তালিবান পঞ্জশির দখলের পর সেখান থেকে প্রত্যেকে পালাতে শুরু করেন৷ তিনি নিজে অশক্ত, অসমর্থ৷ তাই খেঞ্জ ছেড়ে যেতে পারেননি বলে জানান আবদুল গফুর৷

আরও পড়ুন: Taliban: তালিবানরাজ, দুবেলার খাবার জোগাড়ে কাবুলের রাস্তায় টিভি, ফ্রিজ বিক্রি অসহায় আফগানদের

গফুর আরও জানান, তালিবানের হাতে আফগানিস্তানের (Afghanistan) পঞ্জশির যাওয়ার পর সেখানকার বেশিরভাগ মানুষ দক্ষিণ কাবুলে (Kabul) পালাতে শুরু করেন৷ খেঞ্জের মতো মালাস্পাতেও সেই একই অবস্থা৷ মালাস্পাও যেন জনমানবহীন হয়ে পড়ে রয়েছে৷ তালিবানের গুলির ভয়ে  সেখান থেকে সাধারণ মানুষ পালাতে শুরু করেছেন৷

সবকিছু মিলিয়ে পঞ্জশিরে পাহাড়ের প্রত্যেক খাঁজে রেজিস্টেন্স ফোর্স  নয়, সশস্ত্র তালিব যোদ্ধারা পাহারা দিতে শুরু করেছে৷ সম্প্রতি তালিবান যখন পঞ্জশির দখল করে, সেই  সময় কাবুলে বাজি ফাটিয়ে জয় উদযাপন করে৷ তালিবানের ভয়ে রেজিস্টেন্স ফোর্সের নেতা আহমেদ মাসুদ দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানে পালিয়েছেন বলেও প্রকাশ পায়৷ যদিও আহমেদ মাসুদ দাবি করেন, তালিবানের সঙ্গে তাঁদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি৷ পঞ্জশিরের মানুষের জন্য তাঁরা লড়াই তালিয়ে যাবেন বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় আহমেদ মাসুদকে৷