১০ দিন পর অবশেষে বাংলাদেশে (Bangladesh) চালু হল ইন্টারনেট পরিষেবা। রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টে নাগাদ সচল করা হয় পরিষেবা। তবে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, ইনস্টাগ্রামের মতো অ্যাপগুলি এখনও চালু হয়নি। পাশাপাশি বর্তমানে শুধুমাত্র ৪জি পরিষেবাই চালু করেছে বাংলাদেশ সরকার। তিনদিন পর রাজ্যের পরিস্থিতি দেখে ৫জি পরিষেবা চালু করবে বলে জানানো হয়েছে। রবিবার বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনেইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিগত কয়েকদিনে বাংলাদেশে যেভাবে হিংসা ছড়াচ্ছিল তাতে সামাজিক মাধ্যমে এই সংক্রান্ত একাধিক ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছিল। যা দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার পক্ষে যথেষ্ট। সেই কারণে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়ছিল। আগামীদিনে পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে ইন্টারনেট সংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলি তুলে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ টেলিকম সংস্থা রবি গ্রামীনফোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "গত ১৮ জুলাই থেকে দেশজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়ছিল। এখন আবার প্রশাসনের নির্দেশে সচল করা হয়েছে। আপাতত নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যবহারকারীদের ৪জি স্পিড দেওয়া হচ্ছে। আগামীদিন প্রশাসন নির্দেশ দিলে ৫জি পরিষেবাও চালু হবে"। যদিও ইন্টারনেট চালু হলে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন সংক্রান্ত ভিডিও ফের ছড়িয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কাতেই অ্যাপগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসে বাংলাদেশে চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে ছাত্ররা প্রতিবাদ শুরু করে। এই প্রতিবাদ ঠেকাতে হিংসার পথ বেছে নেয় শেখ হাসিনার সরকার। নির্বিচারে চলে লাঠিচার্জ, গুলি, কাঁদানে গ্যাস। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়েছে ওঠে ঢাকা, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম। বেসরকারি হিসেব অনুযায়ী এই আন্দোলন ছাত্র, পুলিশ মিলিয়ে কমপক্ষে ২০০ জনের প্রাণ গিয়েছে। আহত অনেকে। পাশাপাশি একাধিক তরুণ তরুণী নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত, কোটা ব্যবস্থায় ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষণ রাখা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছিল ছাত্রছাত্রীরা।