সান অ্যান্টোনিও, ২৮ জুন: ফের সীমান্ত পেরিয়ে আমেরিকায় অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে প্রাণ গেল ৪০ জন অভিবাসীর। একটি ট্রাক্টর ট্রেলারের মধ্যে করে এই ৪০ জন সানঅ্যান্টোনিওতে আসছিলেন। দক্ষিণ টেক্সাসে অভিবাসী চোরাচালানের ঘটনাটি ঘটেছে। এক মার্কিন আধিকারিক জানিয়েছেন ট্রাকে থাকা আরও ১৫ জনকে সান অ্যান্টোনিওর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ট্রাকেই সোমবার মিলেছে ৪০ জনের মরদেহ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্তা পুরো তথ্য জানানোর পর সাফ বলেছেন, এই তথ্য প্রকাশ্যে আনার অনুমোদন মেলেনি। আরও পড়ুন-GST Council Meet 2022: ক্যাসিনো, ঘোড়দৌড়ের মতো অনলাইনে গেমে এবার জিএসটি
গত ১ দশকে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে মর্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে গিয়ে অন্তত হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ট্রাকের বদ্ধ ট্রেলারের মধ্যে ৪০ জনের মৃত্যুর ঘটনা সবথেকে বেশি মর্মান্তিক। সান অ্যান্টোনিওর ওয়ালমার্টের সামনে পার্ক করে রাখা ট্রেলারে এমনই ভাবে ১০ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছিল ২০১৭ সালে। ২০০৩ সালে সান অ্যান্টোনিওর দক্ষিণ পূর্বে একটি বাঁকানো ট্রাক থেকে ১৯ জন অভিবাসীকে খুঁজে পাওয়া যায়।
মার্কিন মুলুকে সবথেকে বেশি অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটে এল পাসো, সান দিয়েগো, টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে। ১৯৯০-এর প্রথম দিকে এই তিন সীমান্ত দিয়ে এত অভিবাসী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ করত যে, বিগ রিগসের আবির্ভাবও হয় এই সময়। এরাই অভিবাসী চোরাচালানে মহাদেশের মধ্যে সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছিল।
প্রথম দিকে চোরাচালানকারীদের যারা হোতা, তাদের সামান্য টাকা দিলেই অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে নির্বিঘ্নে আমেরিকায় ঢুকে পড়া যেত। কিন্তু ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তার কড়াকড়ি বেড়েছে। এর জেরে বিপদসঙ্কুল পথই এখন অভিবাসীদের জন্য আমেরিকায় প্রবেশের একমাত্র উপায. শুধু তাই নয় চোরাচালানকারীদের মোটা অঙ্কের অর্থ না দিলে সেই পথও বন্ধ।
তবে গরম বাড়লে বিপদ আরও সঙ্গীন হয়ে ওটে। সান অ্যান্টোনিওতে যেমন সোমবার মেঘলা আবহাওয়া ছিল। কিন্তু সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় সমস্যা বাড়ে। ট্রেলারের মধ্যেও বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। এর জেরেই মর্মান্তিক পরিণতি ঘটেছে।