দিল্লি, ৩ জানুয়ারি: চিনে ফের আতঙ্ক শুরু হয়েছে। HMPV ভাইরাস থাবা বসাতে শুরু করেছে চিনে। কোভিডের মত এই HMPV ভাইরাস, যার জেরে যেমন জ্বর আসছে। তেমনি সর্দি,কাশির প্রকোপও বাড়ছে। চিনে যেভাবে HMPV ভাইরাসের দাপট বাড়ছে, তাতে যে কোনও সময় এই ভাইরাস করোনর মত পরিস্থিতি তৈরি করবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে মানুষের মনে। HMPV ভাইরাসের পাশাপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা, নিউমোনিয়ার প্রকোপও চিন জুড়ে বাড়ছে। ফলে করোনার মত HMPV ভাইরাস ফের নতুন করে চিনের পাশাপাশি গোটা বিশ্ব জুড়ে থাবা বসাবে কি না, তা নিয়ে রহস্য ঘনাতে শুরু করেছে।
কী এই HMPV ভাইরাস?
HMPV ভাইরাসের জেরে শ্বাসপ্রঃশ্বাসের কষ্ট শুরু হয়। শ্বাসপ্রশ্বাসের কষ্টের জেরে কাহিল হয়ে যেতে হয় এই ভাইরাস থাবা বসালে। বিভিন্ন বয়সের মানুষ HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষ করে শিশুরা। ছোটদের পাশাপাশি বয়ষ্কদেরও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর। এই ভাইরাস থাবা বসালে ফের নতুন করে তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। প্রসঙ্গত ২০০১ সালে প্রথম এই HMPV ভাইরাস ধরা পড়ে।
কী কী উপসর্গ দেখা দেবে এই HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত হলে?
এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে সংক্রমণ ৬ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তবে সংক্রমণের প্রকোপ যেমন বাড়তে পারে তেমনি আরও বেশ কিছুদিন এই ভাইরাস মানুষের দেহে বাসা বেধে থাকতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কীভাবে এই HMPV ভাইরাস ছড়াতে পারে?
হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস।
সংক্রমিত ব্যক্তিকে ছোঁয়া, হাত মেলানোর মাধ্যমেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।
এসবের পাশাপাশি সংক্রমিত ব্যক্তিকে ছোঁয়ার পর সেই হাত নাকে, মুখে দিলে অপরজন আক্রান্ত হতে পারেন।
কারা এই HMPV ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হতে পারেন?
শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারে এই ভাইরাসে।
বয়ষ্কদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
যাঁদের ইমিউনিটি কম, তাঁরাও খুব শিগগিরই এই ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।